আর নয় মশার উৎপাত!
বসন্তের এই মাতাল সমীরণে মশার সুমধুর গান শোনেননি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। শুধু গানই নয়, গানের পাশাপাশি এর বিষাক্ত ঠোঁটের ছোঁয়া পাওয়ার সৌভাগ্যও সবার জীবনে ঘটেছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকাসহ ভয়াবহ সব রোগ হয় মশার কামড়ে। রাসায়নিক উপাদানযুক্ত কয়েল কিংবা বাজারের দামি দামি মশা নিরোধক না কিনে ঘরোয়া উপায়ে মশা তাড়াতে জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকা।
১. লেবু খণ্ড খণ্ড করে কেটে ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন। শুধু লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন। বেশ কয়েকদিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
২. পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ঘরের সব মশা পালিয়েছে।
৩. মশার উৎপাত কমাতে চাইলে ঘরের বৈদ্যুতিক আলোটি হলুদ সেলোফেনে জড়িয়ে দিন। ফলে হলুদ আলো হবে। দেখবেন মশা কমে গেছে, কারণ মশা হলুদ আলো থেকে দূরে থাকতে চায়।
৪. ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ওই চা পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় ঘরের সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।
৫. কাঠ-কয়লার আগুনে নিমপাতা পোড়ালে যে ধোঁয়া হবে তা মশা তাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকর।
৬. জোরে ফ্যান চালু রাখুন। মশাদের উড়বার গতিবেগের চাইতে ফ্যানের গতি বেশি হওয়ায় মশা আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না।
৭. যে কোনো ফার্মেসিতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। তাৎক্ষণিক মশা গায়েব হয়ে যাবে। দুইদিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন।
৮. পাঁচ ভাগ পানিতে ১ ভাগ রসুনের রস মেশান। মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে শরীরের যেসব স্থানে মশা কামড়াতে পারে সেসব স্থানে স্প্রে করুন। মশার উৎপাত কমবে।
৯. সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো জমানো জল থেকে দূরে থাকা। ঘরের আনাচেকানাচে কিংবা উঠোনে যেখানেই জল জমুক না কেন, তা সরিয়ে ফেলুন। মশার বংশবিস্তার রোধ করুন।
আরও পড়ুন:
কেএইচ/পি
মন্তব্য করুন