লেবুর এতো গুণ, জানতেন কী?
গরমে যখন তীব্র দাবদাহে ক্লান্ত, ঠিক তখনই এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে প্রাণটা জুরিয়ে যায়। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার এবং এন্টিব্যাকটেরিয়া ও এন্টিভাইরাল উপাদান। ফলে মৌসুমি নানা সংক্রামক রোগে, যেমন ঠান্ডা, কাশি, সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে লড়তে পারে এই ফলটি। চলুন জেনে জেনে নিই লেবুর নানাবিধ স্বাস্থগুণের কথা।
ক্ষত সারায় দ্রুত
লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। হাড়, তরুনাস্থি ও টিস্যুর স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
লেবুর মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুস পরিষ্কার করে হাঁপানি সমস্যার উপশম করে।
হজমে সাহায্য করে
লেবুর রস শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। বদহজম, বুক জ্বালার সমস্যাও সমাধান করে লেবু পানি। সেইসঙ্গে পরিপাক নালী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
--------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গর্ভাবস্থায় খাবেন যে ফলগুলো
--------------------------------------------------
ত্বক পরিষ্কারক
লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তাছাড়া লেবুর রস বয়সের বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর।
ওজন কমাতে খুবই কার্যকর
লেবুতে থাকা পেকটিন ফাইবার খিদে কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা খালি পেটে লেবুর রস খান, তাদের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। সুতরাং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা না করে প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খান।
দূর করে কিডনি পাথর
লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে ‘ক্যালসিয়াম অক্সালেট’ নামক পাথর গঠনে বাধা দেয়। সাধারণ কিডনি পাথরগুলোর মধ্যে এটি একটি।
পেট পরিষ্কার রাখে
শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকারক পদার্থ বের করতে সাহায্য করে লেবু পানি। ফলে ইউরিনেশন ভাল হয়। লিভার ভাল থাকে।
পরিষ্কার রাখে লিভার
লেবুতে বিদ্যমান সাইট্রিক অ্যাসিড কোলন, পিত্তথলি ও লিভার থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে
ভাইরাসজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লেবুর রস।
মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে
যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটে। তাহলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন। এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে।
ক্যানসার প্রতিরোধে
লেবু অনেক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন :
কেএইচ/ জেএইচ
মন্তব্য করুন