যা খেয়ে কমাতে পারেন উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপারটেনশন এই সমস্যাগুলোতে অনেকেই ভুগে থাকেন। অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাবার দাবার এবং ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকার কারণে এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য বেশকিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে। চলুন জেনে নেই।
লবন কম খান
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সবার আগে লবন খাওয়া কমাতে হবে। খাবার সময় আলাদা করে কাচা লবন তো একদমই খাওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে রান্নাতেও যতটা সম্ভব লবন কম দিন। অতিরিক্ত লবন রক্তে মিশে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এবং দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় এতে কিডনিরও ক্ষতি হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : লেবুর এতো গুণ, জানতেন কী?
--------------------------------------------------------
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তাই রাখুন কলা।
শাকসবজির বিকল্প নেই
নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। আঁশযুক্ত বিভিন্ন শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফোলেট থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কম তেলে রান্না সবজি বা সিদ্ধ সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন, তাতে শরীরে ক্যালরি কম ঢুকবে।
ওটমিল
ওজন কমাতে এবং শরীরে শক্তি বাড়াতে ওটমিল খেতে পারেন নিয়মিত। পুষ্টিবিদরা সকালের নাস্তায় ওটস খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ওটসে সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম, তা ছাড়া রয়েছে উচ্চমাত্রায় আঁশ।
তরমুজ
অ্যামিনো অ্যাসিড এল-সিট্রুলিন সমৃদ্ধ তরমুজ শুধু রক্তচাপ নয়, শরীরের নানা সমস্যা দূর করে। এতে রয়েছে লাইকোপিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ফাইবার যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
শশা
শশাতে জলীয় উপাদান খুব বেশি থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত ডায়েটে শশা রাখলে রক্তচাপ কমে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।
মধু
হাইপারটেনশন কমানোর আর একটি ঘরোয়া টোটকা হল মধু। এক কাপ উষ্ণ গরম জলে এক চামচ মধুর সঙ্গে ৫-১০ ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন প্রাতরাশের আগে খান। অনেক উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন :
কেএইচ/জেএইচ
মন্তব্য করুন