খুশকি তাড়াতে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্ক
খুশকির সমস্যা একবার শুরু হলে এটা শেষ করা কঠিন। বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায় যা খুশকি তাড়াতে সাহায্য করে। তবে এইসব শ্যাম্পুতে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় বলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে আপনার চুলের বিরাট ক্ষতি হয়। তাই কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে নিজেই বানিয়ে নিন প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্ক। ফেমিনা ইন্ডিয়া অবলম্বনে জেনে নিন কীভাবে বানাবেন সেইসব প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্ক।
দই, মধু ও লেবুর মাস্ক
যা লাগবে: আধাকাপ টক দই, এক টেবিল চামচ লেবুর রস আর এক টেবিলচামচ মধু।
যেভাবে বানাবেন: সবকয়টা উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটা মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে ভালো করে মেখে আধ ঘণ্টা রাখুন। সালফেট বিহীন কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার থেকে দুইবার করলেই ফল পাবেন।
কেন উপকারী: লেবুর রসের অ্যাসিড মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স আর তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, মধু আর দই আর্দ্রতা জোগায়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ত্বক আর চুলের যত্নে ব্যবহার করুন বিউটি অয়েল
--------------------------------------------------------
নারিকেল তেল
যা লাগবে: শুধু তিন টেবিল চামচ নারিকেল তেল
যেভাবে বানাবেন: নারিকেল তেলটা একটু গরম করে নিন। মাথায় আঙুল দিয়ে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। অন্তত ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করবেন। পুরো মাথা তেল দিয়ে মাসাজ করা হয়ে গেলে বাকি তেল চুলে লাগিয়ে নিন। আধঘণ্টা তেল চুলে বসতে দিন। তারপর কোমল সালফেট বিহীন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কেন উপকারী: নারিকেল তেলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে। নারিকেল মাথার ত্বকের গভীরে ঢুকে তা খুশকি কমিয়ে থাকে।
জবাফুল আর মেথি
যা লাগবে: ১০-১২টা জবাপাতা, এক টেবিলচামচ মেথি আর আধকাপ টক দই।
যেভাবে বানাবেন: মেথি সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ভেজানো মেথি আর জবাপাতা একসঙ্গে বেটে নিন। এই মিশ্রণে মেশান টক দই। এবার পুরো মাথা আর চুলে ভালো করে মেখে আধঘণ্টা রাখুন। কোমল সালফেট বিহীন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই তিনবার করতে হবে।
কেন উপকারী: জবাপাতা খুশকির অব্যর্থ ওষুধ, একইসঙ্গে চুলের শুষ্কতা কমাতেও কার্যকর। মেথির গুণের সঙ্গে জবাপাতার গুণ মিশলে খুশকি তো যাবেই, চুলও হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
আরও পড়ুন :
কেএইচ/জেএইচ
মন্তব্য করুন