এ মাসেই আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ
একটি শৈত্যপ্রবাহের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি মাসের শেষের দিকে মাঝারি মাত্রার এই শৈত্যপ্রবাহটি বয়ে যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে।
এবার শীত আসতে কিছুটা দেরি হয়। ডিসেম্বরজুড়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলেনি কাঙ্ক্ষিত শীতের। তবে জানুয়ারির শুরুর দিকে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যায় মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এতে অনুভূত হয় কনকনে শীত। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন।
এবারের শীত ঝাঁকুনি দিয়েছে পুরো দেশকে। একদিনের শীতের মাত্রা রেকর্ড ভঙ্গ করেছে গত ৫০ বছরের। গত ৮ জানুয়ারি সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। এর আগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এতদিন পর্যন্ত এটাই ছিল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন দিতে রিটের রায় বুধবার
--------------------------------------------------------
আবহাওয়াবিদ আয়শা খাতুন জানান, শীতের তীব্রতা কমে গেলেও এখনো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।
তিনি আরো বলেন, জানুয়ারি সবচেয়ে শীতল মাস। উপমহাদেশীয় বলয় বিস্তারের প্রভাবে এই মাসে তাপমাত্রা কমে যায়। যখন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যায় তখন আমরা এটাকে মাঝারি মানের শৈত্যপ্রবাহ বলে থাকি।
এদিকে রাজধানীসহ কিছু কিছু অঞ্চলে শীতের মাত্রা কমে গেলেও উত্তরের বিভিন্ন জেলায় এখনো বইছে শৈত্যপ্রবাহ। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রা এখনো ১০ ডিগ্রির নিচে।
রাজশাহীতে বুধবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রির কাছাকাছি। ভোররাতে এই মাত্রা আরও কম ছিল। রংপুরেও একই অবস্থা। এই দুই বিভাগে এখনো শীতের তীব্রতা রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
পি
মন্তব্য করুন