প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা সম্ভব : মোস্তাফা জব্বার
পরীক্ষা গ্রহণ, প্রশ্ন তৈরি ও যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্নটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছায় তা অনেক পুরনো। এই প্রক্রিয়ায় অনেক মানুষ যুক্ত, যেজন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া যে কারও জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা সম্ভব। বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও শিক্ষার্থী মূল্যায়নে পরিবর্তন আনতে হবে। এরকম একটি ধারণা আমাদের মধ্যে জন্ম নিয়েছে যে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়, ইন্টারনেট প্রশ্নফাঁস করে। কিন্তু বিষয়টি খুবই সিম্পল। ফেসবুক, ইন্টারনেট, হোয়াটসঅ্যাপ প্রশ্নফাঁস করে না। প্রশ্নফাঁস হয় মানুষের হাতে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ফোরজিতে ইন্টারনেটের মান কি আদৌ বাড়বে?
--------------------------------------------------------
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আসলে আমি বিশ্বাস করি, যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়, প্রশ্ন তৈরি হয় এবং যে পদ্ধতিতে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করি, আমার মনে হয় এ বিষয়গুলো নতুন করে ভাবার সময় হয়েছে। আমরা যদি না ভাবি তাহলে শত শত বছরের পুরনো পদ্ধতি ডিজিটাল যুগে এসে অচল হতে পারে। আর যদি ডিজিটাল পদ্ধতির কথা বলেন, নিঃসন্দেহে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আপনাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার মতো উপায় আছে। সেটা আমাদের হাতে আছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তিগতভাবে এরকম ব্যবস্থা করতে পারি যে, বাস্তাবে কারও পক্ষে প্রশ্ন ফাঁস করার কোনও সুযোগই থাকবে না। ইন্টারনেট বন্ধ করা অথবা ফেসবুক বন্ধ করা সমাধান না।
প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীকে শনাক্ত করা যাবে। যদি সে আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে তাহলে অপরাধী সহজে শনাক্ত হবে।কিন্তু যদি সে ভিপিএন ব্যবহার করে তাহলে তাকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে আমাকে যে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার ব্যাপার আছে।
আরও পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন