শেখ হাসিনা যুদ্ধে নেমেছেন : নূর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ একটি সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন। একটি যুদ্ধে নেমেছেন। সেই যুদ্ধ হলো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লড়াই। সে লড়াইয়ে আপনাদের পাশে থাকতে হবে। এটা রাজনীতির কথা নয়, এটা বাঁচা-মরার কথা। বললেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় রতনপুর আব্দুল্লাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। পরে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এছাড়াও সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নাট্যকার আলী যাকের, আওয়ামী লীগ নেতা এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মোর্শেদ হোসেন কামালসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:
- ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা করণীয় পুলিশ ততটুকুই করবে’
- ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস পালন করবে বিএনপি
এসএইচ/জেএইচ
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে তার নিজ সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে বিএনপি তাদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়; যা আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
চিঠিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু ও সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টিকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই তার সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার থানা, উপজেলা বা পৌরসভায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতে আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এই আদেশ অতীব জরুরি।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা পেয়েছি। ইতোমধ্যে ওই আসনের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন। তবে নুরুল হক নুরের বাড়িও এ আসনে হওয়ায় আগামী সংসদ নির্বাচনে হাসান মামুন ও নুরের মধ্যে হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের জোট হলে এ আসনে জোটের মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারেন নুর। সে কারণে স্থানীয় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যাতে বিরোধ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসান মামুন বলেন, এই চিঠির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচিতে গেলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক তাকে বাধাগ্রস্ত করে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে উলানিয়ায় তার ওপর হামলা হয়েছিল। পুনরায় যাতে কেউ এ রকম ঘটনা না ঘটাতে পারে, সেই লক্ষ্যেই মূলত বিএনপির সহযোগিতা করার নির্দেশ। এটা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ বিষয় জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে বলেন, গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিল। পাশাপাশি বিগত দিনগুলোতে আমরা বিএনপিসহ ৪১টি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। তবে সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সে কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরটিভি/আইএম-টি
অমুসলিম শাখার কমিটি নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক করল জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীর ভুয়া প্যাড তৈরি, রাজনৈতিক দলটির আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলের নামে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য প্রচারে সতর্কতার পাশাপাশি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, কেন্দ্রীয় অমুসলিম শাখার কমিটি শিরোনামে বিভিন্ন পদ উল্লেখ করে নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো প্রচারিত তথ্যটিতে যে প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে, তা জামায়াতে ইসলামীর প্যাড নয় এবং তথ্যটিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলের নামে যে স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে, তা ভুয়া ও মিথ্যা।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভুয়া প্যাড এবং আমিরে জামায়াত ও সেক্রেটারি জেনারেলের স্বাক্ষরের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। বিভিন্ন পদ উল্লেখ করে যে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে তাও সঠিক নয়। জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির হীন উদ্দেশ্যেই একটি কুচক্রী মহল জামায়াতে ইসলামীর নামে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যটি প্রচার করেছে।
বিবৃতিতে মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সব কর্মকাণ্ড প্রকাশ্য। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে দেশের জনগণের ধারণা সুস্পষ্ট। তাই ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আমি এ ধরনের ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আরটিভি/এসএপি
যে আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন নুরুল হক
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর নিজ এলাকা পটুয়াখালী-৩ আসন (গলাচিপা ও দশমিনা) থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ভিপি নুরু বলেন, অনেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন ভিপি নুর ঢাকা থেকে নির্বাচন করবেন। সে (ভিপি নুর নিজে) সারা বাংলাদেশ থেকেই নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু মা-মাটিকে তো ভুলে যাওয়া যায় না। এই চরের কাদামাটি, নদীর পানি গায়ে মেখে বড় হয়েছি। এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই কী করে? আপনারা যদি সমর্থন করেন, তাহলে পটুয়াখালী-৩ থেকেই নির্বাচন করবো।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন হলেও কেউ কেউ খেয়াঘাট-ফেরিঘাট-লঞ্চঘাট ও বাস স্ট্যান্ড দখলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি শুরু করেছে। এই দখলবাজ-চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজ মাফিয়াদের প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে যেভাবে হটিয়েছি তেমনিভাবে এদেরকেও হটাতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘জুলুম-অবিচার করবেন না। জুলুমকারী, অত্যাচারকারীদেরকে আল্লাহ্ ছাড় দেয়, ছেড়ে দেয় না। সব থেকে বড় উদাহরণ শেখ হাসিনা। অত্যাচার, নির্যাতন, দাম্ভিকতার কারণে হাসিনার নিষ্ঠুর পতন হয়েছে। পালাবার সময় জুতা, কাপড় চোপড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রটুকুও নিতে পারেননি, এক কাপড়ে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেছেন।
সকল রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে ভিপি নূর বলেন, শেখ হাসিনার মতো কাজ করিয়েন না। যাতে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে না হয়। গলাচিপা-দশমিনায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, চরমোনাই বলে কিছু নেই। আমরা সকলে মিলেমিশে থাকবো। বিপদে পড়লে একে অপরের পাশে দাঁড়াবো।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ভিপি নুর বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে দলীয়করণ করেছিল, বিশেষ কোনো দলের প্রতি তেমনি পিরিত দেখাতে যাবেন না। কোনো দলের সঙ্গে বৈষম্য আচরণ করবেন না। এ প্রথাগত রাজনীতি ভাঙতে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন। সকলকে ইতিবাচক কার্যক্রমের মানসিকতার হতে হবে।
গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সহসভাপতি আবু হানিফ হৃদয়, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, আনিসুর রহমান মুন্না, প্রচার সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ইউছুফ কাজী, ঢাকা মহানগর (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, চট্টগ্রাম মহানগর যুব অধিকার পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুব অধিকার পরিষদের নেতা মো. শামীম গাজী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের জেলা আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু, সদস্য সচিব মো. শাহ আলম সিকদারসহ দলের স্থানীয় নেতারা। এ ছাড়াও বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন, গলাচিপার চর বিশ্বাস এলাকার মো. ইদ্রিস হাওলাদার ও মো. হাতেম মাস্টার, গলাচিপা পৌর শহরের মো. রেজাউল হাওলাদার, গোলখালীর ডা. অনুতোষ দাস। জনসভা শেষে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত গলাচিপা উপজেলার পাঁচ শহীদ পরিবারকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আরটিভি/এএএ/এসএ
টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ৭ নভেম্বরের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় দলটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বরের সঠিক ইতিহাস জনগণের সামনে নিয়ে আসতে হবে। যারা গত ১৫ বছরে বিকৃত ইতিহাস পেয়েছে তাদের সামনে সেই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই এবার আমরা এই দিনটি গুরুত্বসহকারে পালন করব।
এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ আংশিক ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে, পুরোপুরি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সংঘটিত সিপাহী-জনতা বিপ্লবের স্মরণে দিনটিকে মূলত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান জেনারেল খালেদ মোশাররফের ৩ দিনব্যাপী সামরিক অভ্যুত্থানের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান, এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন।
আরটিভি/একে-টি
ভালোবাসা ও সম্মানের জায়গাটা নষ্ট করবেন না, ড. ইউনূসকে ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে ও সম্মান করে সেটা যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, সরকারের নেতৃত্বে যিনি আছেন তিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। ড. ইউনূসের কাছে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। সম্মান দিয়েছে, দেবে ও দিতে চায়। আপনার এই জায়গা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্য বিষয়ে নজর না দিয়ে ফোকাসটা ওই (নির্বাচন) দিকে করবেন। এটার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে, জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে হলে সবার অংশগ্রহণে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সে কারণেই এতো প্রাণ গেছে। এতো মানুষ দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে, কারাগারে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার একদম কিছু করেনি (নির্বাচনের বিষয়ে) সেটিও সঠিক নয় বলেই মনে করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সর্বশেষ একটা সার্চ কমিটি গঠন করেছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল সার্চ কমিটি গঠনের আগে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপরেও এটাকে আমরা বড় সমস্যা মনে করছি না। দ্রুত নির্বাচন কমিশন হোক। এরপর দ্রুততার সঙ্গে তাদের যে কাজ নির্বাচন করা সেটি তারা করুক।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা জটিল সময় পার করছি। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। চক্রান্ত শেষ হয়নি। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টরা এখনো সক্রিয়। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন করে পুরো কাঠামোর পরিবর্তন করা যায় না। সেটার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়।
আরটিভি/একে/এসএ
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলা যাবে না: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুলতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) হেফাজত থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলজুড়ে অজস্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। গুম-খুন ছাড়াও বিশেষত বিডিআর হত্যা, শাপলা চত্বরের গণহত্যার পরেও নির্বিঘ্নে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম রাখতে পেরেছিল হাসিনা। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারেনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। উল্টো গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সমস্ত প্রতিবাদ উপেক্ষা করে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাগুজে মানবাধিকার সংস্থার অফিস ঢাকায় হোক তা দেশের জনগণ চায় না।
‘জাতিসংঘের মানবাধিকার পলিসিতে এলজিবিটিকিউ তথা সমকামীদের অধিকারের বিষয়টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশ মুসলিম-অধ্যুষিত রাষ্ট্র হওয়ায় এদেশে সমকামিতা শুধু ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে নিষিদ্ধই নয়, রাষ্ট্রীয় আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়াও উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে তাদের নারী-পুরুষ সমানাধিকার ও সর্বজনীন যৌনশিক্ষার ইস্যুগুলো ইসলামের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে খ্রিস্টান রাজ্য বানানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও উদ্বেগের বিষয়।’
হেফাজতে ইসলাম আরও জানায়, সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সন্ত্রাসবাদ, অশান্তির দাবানল সৃষ্টি করেছে তা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩৮ হাজার বাঙালি হত্যার দায় ও সব ঘটনার দায় অবশ্যই সন্ত্রাসীদের নিতে হবে। কিন্তু জাতিসংঘ তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্ত্রাসীদের পক্ষে বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছেন। ফলে ঢাকায় তাদের অফিস খুলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চরম আত্মঘাতী হবে। নতুন করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হোক এবং তাতে অন্তর্বর্তী সরকার আরও দুর্বল হয়ে পড়ুক তা আমরা চাই না।
‘আমরা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস এদেশে খুলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। গত কয়েক যুগ ধরে একের পর এক মুসলিম দেশে রুশ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে বোমাবর্ষণ, গণহত্যা, আগ্রাসন, লুটপাট ও নজিরবিহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। অথচ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ সেসবের কিছুই ঠেকাতে পারেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দশকের পর দশক বিনা বাধায় ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা ও দখলবাজি চলমান এবং কাশ্মিরে ভারত কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়মিত ঘটনা ঘটছে। এমনকি সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসনকবলিত ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া ও লেবাননসহ অসংখ্য মুসলিম দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সংস্থাটি। তাই দেশের স্বার্থে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সভ্যতা সংস্কৃতি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুলতে দেয়া যাবে না।
আরটিভি/আরএ/এসএ
শেখ হাসিনা নির্বাচনে যেতে ফোন করেছিলেন, প্রস্তাব ছিল ১২ কোটি: নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, গত নির্বাচনে অংশ নিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে টেলিফোন করেছিলেন এবং ১২ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
নুরুল হক নুর জানান, নির্বাচনে অংশ নিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে টেলিফোন করে আমাদের নির্বাচনে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। এমনকি ১২ কোটি টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। ওষুধের কার্টনে করে টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজের বিবেককে বিক্রি করে দেননি।
তিনি বলেন, তিনি অনুরোধ করে আমাদের গণভবনে নিয়ে গেছেন। গণভবনে গিয়ে আমরা মাথা বিক্রি করে দিইনি, বিবেক বিক্রি করে দিইনি। শেখ হাসিনার টেলিফোনে, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের চাপ; এরপর ওষুধের কার্টনে করে ১২ কোটি টাকা নিয়ে এসেছিল।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আমরা যদি বিক্রি হয়ে যাই, তাহলে মানুষ হতাশ হবে। এই দেশে আর কিছু হবে না। যে কারণেই স্রোতের বিপরীতে প্রতিকূল সময়ে আপসহীন থেকে পট পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে গেছি।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীর মতো দেশের বিভিন্ন এলাকায় দু-একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উৎপাত শুরু হয়েছে। তারা বিভিন্ন জনকে হামলার হুমকি দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের হয়রানি করছেন, ঢালাওভাবে আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিচ্ছেন। মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। আন্দোলন করলো ছাত্র-জনতা আর এরা শুরু করেছে হামলা-মামলা, মিষ্টি খাওয়ার ব্যবসা। এরা যে মাথা গজিয়েছে, তা এখনই ভেঙে দিতে হবে।
সভায় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক সফরে গত তিন দিন ধরে পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় সমাবেশ করছেন নুরুল হক নুর।
আরটিভি/এসএপি/এসএ