‘হাসিনার মামলা প্রত্যাহার হলো, খালেদার কেন রায় হলো?’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক-এগারোর সরকার ১৫টি মামলা করে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি দুর্নীতির ১৫টি মামলা আদালতের মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু আজকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কেন রায় হলো?’
বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে দুই কোটি টাকার জন্য খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হলে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির জন্য কত বছর জেল হবে? শেয়ারবাজার, হলমার্ক, বিছমিল্লাহ গ্রুপের কেলেঙ্কারির জন্য কতবছর সাজা হবে? বিচারের হাত থেকে বাঁচার জন্যই এসব লুটেরা দুর্নীতিবাজরা চায় বর্তমান সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকুক।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মিথ্যা, সাজানো ও বানোয়াট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালোদা জিয়াকে সাজা দিয়ে চোরাবালির গভীরে আটকে গেছে সরকার। খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তরা জামিন পেলেও খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। অনেক খুনের আসামির আপিল গ্রহণের সঙ্গেসঙ্গেই জামিন হচ্ছে কিন্তু খালেদা জিয়ার জামিনের ক্ষেত্রে অহেতুক নথির কথা বলা হচ্ছে।’
বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, ‘বিগত দিনে সেনা সরকারের সময় শুধু খালেদা জিয়া নয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। তাদের মামলা প্রত্যাহার করা হলেও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলাগুলো সচল রাখা হয়েছে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়া সরকারে সব অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করেন, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন তাই বর্তমান সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তিনি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে নার্সেস সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন:
এসজে
মন্তব্য করুন