জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় জড়িত আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দেশে ফেরত আনা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এরইমধ্যে বিদেশে পালিয়ে থাকা ৪ খুনির অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জটিল প্রক্রিয়ারও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। জানালেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির ললাটে কলঙ্ক লেপন করেছিল বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেই থামেনি খুনিদের বর্বরতা, আইন করে বন্ধ করে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ।
ইতিহাসের নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রায় শেষ হলেও ৬ খুনিকে এখনও দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন সূত্রমতে, রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র ও নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছে। এছাড়া শরিফুল হক ডালিম, কর্ণেল রশীদ, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন ও ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ঢাবিতে হাতে তৈরি বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ প্রতিকৃতি উন্মুক্ত
-------------------------------------------------------
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, গেলো কয়েক বছরে খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। যেটা আশাবঞ্জক।
তিনি বলেন, খুনিদের ফিরিয়ে আনাটা অনেক জটিল প্রক্রিয়া। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
আর বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন আশা প্রকাশ করেন, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পেছন থেকে যারা কলকাঠি নাড়েন, তাদের চিহ্নিত করে শান্তি নিশ্চিত করা গেলেই বিচার পরিপূর্ণ হবে।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ১২ খুনির মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। এর মধ্যে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ৫ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে দায়মুক্ত হয় পুরো জাতি ও দেশ।
রায় কার্যকরের আগেই ২০০১ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান খুনি আজিজ পাশা।
এসজি/এসআর