বিরোধীদের দাবি নাকচ করলেন জয়
আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে বিরোধীদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ‘রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্স’-এ এক নিবন্ধে এ দাবি নাকচ করেন তিনি। বিরোধীদের বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ড করে লেখা এ নিবন্ধনটি ২৯ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটি তাদের অনলাইনে প্রকাশ করেছে। এটি সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পেজেও শেয়ার করেছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেন- বাংলাদেশের গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে বলে সরকার বিরোধীরা যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়। তার এটি ভুল বলেছেন। তাদের দাবি সত্য নয়।
গণতন্ত্রের অবস্থা ও আসন্ন নির্বাচনের শঙ্কা সম্পর্কিত বিরোধীদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন জয়। তিনি বলেন, সরকার বিরোধীদের দাবি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের বক্তব্য ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন অকার্যকর এবং তারা আরও বলছে যে, আসন্ন নির্বাচনের অবস্থাও অনুরূপ হবে’।
এ বিষয়ে তিনি লিখেন- ২০১৪ সালের নির্বাচনের অপূর্ণতার দায় পুরোটাই বিএনপির, আওয়ামী লীগের নয়। নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীও দেয়নি বিএনপি।
জয় বলেন, প্রকৃত সত্য হচ্ছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বিগত নির্বাচনটি ইচ্ছাকৃতভাবে বয়কট করেছে এবং ‘পরবর্তীতে দাবি করে যে খুব স্বল্প সংখ্যক রাজনৈতিক দল এতে অংশ নিয়েছে। যা ছিল একটা ভাওতাবাজি ও হাতাশাপূর্ণ।’
জয় তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন- অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং এমনকি নির্বাচন তদারকে সহায়তা করার জন্যও বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান- অথচ দলটি তার ছাড় দেয়ার বিষয়ও নাকচ করে দেয় এবং এর বিপরীতে এ দলের কতিপয় নেতা ভোট কেন্দ্রে বোমা নিক্ষেপের পথ বেছে নেয়।
জয় বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ হচ্ছে কয়েকজন বিরোধী নেতার অন্তর্ধানের বিষয়টি সরকারের ষড়যন্ত্র। এটিও সত্য নয়। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের গুম ও ফিরে আসার কথা তুলে ধরেন তিনি। সজিব ওয়াজেদ বলেন, ২০১৫ সালে বিএনপি অভিযোগ করে সালাউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করেছে পুলিশ। অথচ দুই মাস পর ভারতে তার সন্ধান মেলে। বাকিদেরও খুব দ্রুতই সন্ধান মেলে। হারিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সন্ধান মেলে বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের।
তিনি লিখেন- বিএনপির কয়েকজন জোর দিয়ে বলেছেন তাদের নেতা খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তারা খালেদার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন, এমনকি যদি তিনি মুক্তি না পান তবে নির্বাচনে বাধা দিতে ‘রাস্তায় নামার’ হুমকি দেন।
অথচ এতিমদের আড়াই লাখ ডলারেরও বেশি টাকা আত্মসাতের কারণে বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এতিমদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
জয় বলেন- একজন ব্যক্তির অনুপস্থিতি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কোনও অজুহাত হতে পারে না।
আরও পড়ুন :
জেএইচ
মন্তব্য করুন