অক্টোবরে মাঠে গড়াবে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ভার্সন টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা দিন দিন তুঙ্গে উঠছে। এটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশ টাকা কামাচ্ছে। ক্রিকেট এখন হয়ে ওঠেছে টাকা কামানোর মূল জায়গা। ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করেই ২০০৮ সালে ভারত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর আয়োজন করে। এর চাহিদা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে বিপিএল, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, দক্ষিণ আফ্রিকার র্যাম-স্ল্যাম, কাউন্টিতে টি-টোয়েন্টি ব্ল্যাস্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল, পাকিস্তান আয়োজন করে পিএসএল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা এসএলপিএল শুরু করার পর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। এরপর গত বছরের শেষদিকে টি-টোয়েন্টিকে টেক্কা দিতে আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত হয় টি-টেন ক্রিকেট লিগের।
আরও পড়ুন-
এবার জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এই ক্রিকেট ফরম্যাট নিয়ে ‘বাণিজ্যিক ক্রিকেটে’ ঢুকে পড়ার পরিকল্পনা জানিয়েছে আফগানিস্তানও। ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগটির নাম দিয়েছে তারা ‘আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ (এপিএল)’। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট নিয়ে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়ে গেছে। টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর দিন-তারিখও ঠিক করে ফেলেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে এই লিগটি।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে তো আর বিদেশি ক্রিকটোররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাবেন না! সুতরাং, এসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাকিস্তানের পিএসএলের মতো তাদের এপিএলও আয়োজন করা হবে আরব আমিরাতে।
এসিবির প্রধান নির্বাহী শফিক স্টানিকজাই ইএসপিএনক্রিকইনফোকে এ বিষয়ে বলেন, মোট ৫টি দল খেলবে এপিএলে। মোট ম্যাচ হবে ২৩টি। লিগটি অনুষ্ঠিত হবে আরব আমিরাতে। তবে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি কোন কোন শহরে এপিএলের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যেই আমরা আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি পেয়ে গেছি। এ জন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের সব ব্যাপার-স্যাপারই থাকছে এপিএলে। থাকবে খেলোয়াড় নিলামও। দেশি (আফগানিস্তান) এবং বিদেশী খেলোয়াড়দের নিয়ে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে মার্চে। শফিক স্টানিকজাই জানিয়েছেন, অন্তত ৪০জন বিদেশি ক্রিকেটার থাকছেন এই নিলামে। যারা এপিএলে খেলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদেরকেই কেবল রাখা হয়েছে নিলামের তালিকায়।
প্রচার-প্রচারণা কিংবা বহর কেমন হবে এসব বিষয়ে শফিক স্টানিকজাই বলেন, এপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে অনেক বড় পরিসরে। সেটা আর্থিক এবং প্রচারণার দিক থেকেই। আমার মূল উদ্দেশ্য হলো, এপিএলকে বিশ্বের সেরা সেরা লিগগুলোর সেরা তিনটির মধ্যে নিয়ে আসা।
স্পাগিজা ক্রিকেট লিগ নামে আরো একটি টি-টোয়েন্টি আসর গত বছর কিছুটা আন্তর্জাতিক আবহ দিয়ে শেষ করেছিল তারা। যদিও এর পরিধি সেরকম বড় ছিল না। তাই আন্তর্জাতিকভাবে পরিধি বাড়াতেই নতুন করে এই টুর্নামেন্ট চালু করতে যাচ্ছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুন
এএ
মন্তব্য করুন