কোপার ৩০ তম শিরোপার কাছাকাছি বার্সা
বার্সেলোনার ক্লাব ইতিহাসে ট্রান্সফারের রেকর্ড গড়ে যোগ দিয়ে চারটি ম্যাচ খেললেও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না লিভারপুলের হয়ে উড়তে থাকা ফিলিপ্পে কুতিনহো। অবশেষে পঞ্চম ম্যাচে এসে সেই গ্যারো কাটলেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বার্সার জার্সিতে অভিষিক্ত গোল করলেন।
গতরাতে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ স্তাদিও ডি মেসতালায় আতিথিয়েতা নিতে যায় বার্সা। তবে খেলার প্রথমার্ধ অবশ্য প্রতিপক্ষের আক্রমণে বেশ চাপেই ছিল সফরকারীরা। তবে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। পুরো ম্যাচ জুড়েই দেখা মিলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের দৃশ্য। উভয় দলের দর্শকরাই খেলা উপভোগ করেন।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের নবম মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় মেসি। ডি বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া ফ্রি কিক বাঁ দিকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক দলের গোলরক্ষক।
পাল্টা এক আক্রমণে ম্যাচের ১৪তম মিনিটে নিজেদের মাঠে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু রদ্রিগোর হেড অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের।
দুই মিনিট পর সুযোগ পায় প্রথমার্ধের বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা। কিন্তু আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার ডিফেন্স চেরা বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি প্রথম লেগে গোল করা সুয়ারেস।
২৭তম মিনিটে রদ্রিগোর প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনার ত্রাতা গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আন্দ্রে গোমেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন কুতিনহো। মাঠে নেমে প্রতিদান দিতে বেশি সময় নেয়নি এই তারকা ফুটবলার। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সুয়ারেজের বাড়ানো ক্রসে স্লাইড করে নেয়া জোরালো শটে বার্সেলোনার জার্সিতে প্রথম গোল করেন তিনি।
২০১৩ সালে লিভারপুলের হয়ে কুতিনহোর প্রথম গোলের যোগানদাতাও ছিলেন সুয়ারেজ। ৫ বছর পর বৃহস্পতিবার বার্সেলোনার হয়ে কুতিনহোর প্রথম গোলেও অ্যাসিস্ট করলেন সুয়ারেজ। এ যেন ললাটের লিখন।
দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি কোনো গোল করতে না পারলেও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন সতীর্থদের। ম্যাচের ৮২ মিনিটে সুয়ারেজের সহযোগিতায় গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভান রাকিতিচ।
পরে আর কোনো দল গোল করতে না পারলে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। এই নিয়ে স্প্যানিশ ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা আসরে ৪০ বার ফাইনালে ওঠে মেসি-লুইসরা।
ঘরের মাঠে সুয়ারেজের দেয়া গোলে জিতে আগেই কোপার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল বার্সা। এবার ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে কুতিনহো ও রাকিতিচের দেয়া গোলে ২-০ গোলে জেতে বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলে ৩-০ গোলের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি।
শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়ার মুখোমুখি হবে ২৯ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা।
এএ
মন্তব্য করুন