সোহানের পুরো শরীরটাই কলিজা: মাশরাফি
প্রতিবাদী হয়ে উঠতে যখন শিখে গিয়েছি তখন আর চুপ করে বসে থাকা নয়। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখে গেছে। যার প্রমাণ গত শুক্রবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ।
ম্যাচের ঠিক শেষ ওভারে গিয়ে উত্তাপ শুরু। ১৯ ওভারের প্রথম বলে ব্যাট হাতে স্ট্রাইক প্রান্তে মোস্তাফিজুর রহমান আর ননস্ট্রাইক প্রান্তে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জিততে হলে ১ ওভারে লাগে ১২ রান।
উদানার প্রথম বল মোস্তাফিজের কাঁধের উপর দিয়ে কিপারের হাতে। একই ভাবে দ্বিতীয় বল। কিন্তু আম্পায়ারের কোনো সাড়া নেই। টাইগার অধিনায়ক ব্যাপারটা ভালোভাবে নেননি। যার কারণ উইকেটে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর রুবেল হোসেনকে মাঠ ছেড়ে উঠে আসতে বলেন।
তখন পানি নিয়ে অতিরিক্ত খেলোয়াড় কাজী নুরুল হাসান সোহান যান রিয়াদদের কাছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ঘটনায় বিসিবি অনুতপ্ত
--------------------------------------------------------
সোহানের সাথে কথা বলে জানা যায় ঘটনার বিবরণ। তার মতে, ঝামেলাটা শুরু করে লঙ্কান অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। রিয়াদ ভাই নো বল না দেয়া নিয়ে আম্পায়ারের সাথে কথা বলছিল। আমিও সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম। লেগ আম্পায়ারকে আমি জিজ্ঞেস করলাম দ্বিতীয় বল বাউন্স হলো কিনা। এতেই হঠাৎ পেরেরা বলে উঠলো এখানে তোমার কি কাজ। যাও! থিসারা আমাকে গালি দিয়ে বলে এটা তোমার কাজ নয়। তখন আমিও তাকে বলছিলাম আমি আম্পায়ারের সাথে কথা বলেছি তোমার সাথে নয়। তুমি কেনো আমার সাথে উত্তেজিত হচ্ছ? এই বলে আমি চলে আসছি।
দলের ১২ নম্বর খেলোয়াড় হয়েও সোহান এখন সুপার হিরো দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের চোখে। অনেকের মতে, তিনি (সোহান) দলে না থেকেও যে সাহস দেখিয়েছেন সেটি এক কথায় অনন্য। সোহান বুঝিয়ে দিলেন, আমরাও প্রতিবাদ করতে শিখে গেছি। যদিও এমন আচরণের জন্য এক ডিমেরিট পয়েন্টসহ ম্যাচ ফি'র ২৫% জরিমানা গুনতে হয়েছে সোহানকে।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি একদিন অবশ্য মুখ ফসকে বলেই ফেলেন, সোহানের পুরো শরীরটাই কলিজা।
আরও পড়ুন:
এমআর/কেএইচ
মন্তব্য করুন