• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
‘অস্ট্রেলিয়ার এই দলটা ইতিহাসের সেরাদের কাতারে থাকবে’
হায়দ্রাবাদকে বড় লক্ষ্য দিলো পাঞ্জাব
এবারের আইপিএলে লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। নিজেদের শেষ ম্যাচে হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে শিখর ধাওয়ানের দল। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদকে ২১৫ রানের লক্ষ্য দেয় পাঞ্জাব। রোববার (১৯ মে) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে আথার্ভা টাইডে এবং প্রাভসিমরান সিং। দুজনের ব্যাট থেকে ৯৭ রান। ২৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন টাইডে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন প্রাভসিমরান। তিন ব্যাট করতে এসে তাণ্ডব শুরু করে রাইলি রুসো। দুজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে পাঞ্জাব। ১৪ ওভারেই তুলে নেয় ১৫১ রান। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন প্রাভসিমরান। ৪৫ বলে ৭১ রান করেন এই ভারতীয় ব্যাটার। ৪ বলে ২ রান করে রান আউট হন শাশাঙ্ক সিং। তবে ১ রানের জন্য ফিফটি তুলতে পারেননি রুসোও। ২৪ বলে ৪৯ রান করে আউট হন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জিতেশ শর্মার ১৫ বলের হার না মানা ৩২ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রানের বড় পুঁজি পায় পাঞ্জাব। হায়দ্রাবাদের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন নাতারাজান। এ ছাড়াও প্যাট কামিন্স এবং ভিজায়াকান্থ ভিয়াসকান্থ নেন একটি করে উইকেট নেন।
প্লে-অফে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পাচ্ছে কলকাতা ও বেঙ্গালুরু
হাওসটনে সাকিব-শান্তদের অনুশীলন
মোস্তাফিজকে না পাওয়ার আক্ষেপ চেন্নাই অধিনায়কের
‘ফিজ’ নামটা কীভাবে এলো, নিজেই জানালেন মোস্তাফিজ
জাদুর ছোঁয়ায় বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন আফগানিস্তানের
সু-উচ্চ দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অবিরাম মায়াবী পাহাড়ি ঝর্না। আর এই ঝর্নার মধ্যে দিয়েই সাইকেল চালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে একদল শিশু। পাহাড় পেরিয়ে গ্রাম আবার গ্রাম পেরিয়ে শহর তবুও যেন থামছে না তাদের এই পথ চলা। কিন্তু কেন তাদের এই নিরন্তর ছুটে চলা। কোথায় শেষ হবে তাদের এই পথ। কখন পৌঁছবে তাদের গন্তব্যে! হ্যাঁ, তাদের এই ছুটে চলা কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে। যেখানে তাদের জন্য রাখা আছে এক পানি ভর্তি জাদুর পাত্র। স্টেডিয়ামে পৌঁছেই তারা ছুটে যায় সেই পাত্রের দিকে। এবার সেই পাত্রে শিশুরা একে একে রাখছে সঙ্গে করে নিয়ে আসা দৃষ্টিনন্দন ল্যাপিস লাজুলি পাথর। সঙ্গে ডুবিয়ে দেওয়া হয় এক গুচ্ছ গম। পাথর ও গম রাখা শেষ হতেই কাজ শুরু করে দেয় পাত্রটি। পাত্র থেকে ভেসে আসে আকাশী-নীল রঙের একটি জার্সি। যা দেখে অবাক হয়ে যায় সেই শিশুরা। মনে হয় যেন আরব্য রজনীর কোনো যাদুকরের যাদুর পাত্র। যেখানে যাদুর ছোঁয়ায় হাজির হয়ে যায় সব কিছু।  পাশেই অনুশীলনে ব্যস্ত থাকা আফগান ক্রিকেটারও অবাক হয়ে দেখত আসেন সেই পাত্র। হযরতুল্লাহ যাযাই, মুজিবুর রহমান ও নাজিবুল্লাহ জাদরানরা যাদুর পাত্র ছুঁয়ে দিতেই একে একে তাদের গায়ে ফিট হয়ে যায় সেই জার্সি। এবার পালা জার্সি পরে ফটোসেশন।   ঠিক এভাবেই আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন করে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে আফগানরা। অন্যান্য দেশগুলো যেখানে হোটেল কিংবা জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জার্সি উন্মোচন করে। আফগানরা সেখানে শিশুদের নিয়ে তৈরি করা চমকপ্রদ এই ভিডিওর মাধ্যমে জার্সি উন্মোচন করে চমক দেখাল বিশ্বকে।   আকাশী-নীলের এই জার্সি আফগানদের সম্প্রতিকে নির্দেশ করে। সেই সঙ্গে দেশটির উপজাতি, দৃষ্টিনন্দন ল্যাপিস লাজুলি পাথর ও প্রধান অর্থকরী ফসল গমের কারুকাজ স্থান পেয়েছে জার্সিতে। আফগানিস্তান ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশও জমকালোভাবে তাদের জার্সি উন্মোচন করলেও বাংলাদেশ এখন প্রকাশ করতে পারেনি তাদের বিশ্বকাপ জার্সি।  যদিও বৃহস্পতিবার থেকেই বাংলাদেশ দলের একটি জার্সি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এটিই বাংলাদেশের জার্সি কি না, সে বিষয়ে মেলেনি কোনো সত্যতা। উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশসহ মোট ২০টি দল। ইতোমধ্যে প্রত্যেক দলই ঘোষণা করে ফেলেছে তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড।  
অঙ্ক মেলাতে পারলো না চেন্নাই, দাপুটে প্রত্যাবর্তনে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু
আসরের প্রথম আট ম্যাচের সাতটিই হারলো যে দল, কে ভেবেছিল তারাই ঠাঁই করে নেবে আইপিএলের প্লে-অফে? অভাবনীয় সেই কাজটাই করে দেখালো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম ধাপের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে আজ তারা খেলতে নেমেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে। প্লে-অফে ওঠার লড়াই ছিল দু-দলেরই। কিন্তু সমীকরণ অনেকটা সহজ ছিল চেন্নাইয়ের। সমীকরণ ছিল এরকম- জিতলেও প্লে-অফে উঠতে পারবে না বেঙ্গালুরু, যদি না জিততে পারে অন্তত ১৮ রানের ব্যবধানে। সে অঙ্ক কষেই কি না বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফাফ ডু প্লেসিসকে ব্যটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ। আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিসের ব্যাটে চড়ে মোটামুটি ভালো শুরু পায় ব্যাঙ্গালুরু। খুব আগ্রাসী না হলেও পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে রান তুলতে থাকেন কোহলি এবং ডু প্লেসি। শুরুতে ডু প্লেসিস কিছুটা ধীরে এগোলেও সাবলীল ছিলেন কোহলি। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪২ রান তোলে বেঙ্গালুরু।  পাওয়ারপ্লের শেষে কিছুটা হাত খুলে খেলতে শুরু করেন ডু প্লেসিস। কোহলিও চলে যান ফিফটির খুব কাছে। তবে শেষমেশ ফিফটিটা আর ছোঁয়া হয়নি তার। দলের ৭৮ রানের মাথায় ভেঙে যায় বেঙ্গালুরুর উদ্বোধনী জুটি। ২৯ বলে ৪৭ রান করে বিদায় নেন কোহলি।  ডু প্লেসিস অবশ্য তুলে নেন ফিফটি। দলীয় ১১৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরার আগে ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তিনে নামা রজত পতিদার এবং চারে নামা ক্যামেরন গ্রিন ছিলেন বেশ মারমুখি। অল্প সময়েই ক্রিজে দারুণভাবে জমে যান দুজন। তাদের ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে বেঙ্গালুরু আর কঠিন হতে থাকে চেন্নাইয়ের প্লে-অফের সমীকরণ। দলের ১৮৪ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে ৪১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন পতিদার। শেষ দিকে ছোট দুটি কার্যকরী ইনিংস খেলেন দীনেশ কার্তিক এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৬ বলে ১৪ রান করেন কার্তিক। ম্যাক্সওয়েল খেলেন ৬ বলে ১৫ রানের ইনিংস। অন্যদিকে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ১৭ বলে ৩৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন গ্রিন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রানের শক্তপোক্ত সংগ্রহ দাঁড়ায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। চেন্নাইয়ের হয়ে ৬১ রান খরচায় ২ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্যান্টনার এবং তুষার দেশপান্ডে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চেন্নাই। ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক সঙ্গে করে সাজঘরে ফেরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ড্যারিল মিচেলও। ৬ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। দলীয় ১৯ রানে দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। পরবর্তী ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে ম্যাচের হাল ধরেন রাচিন রবিন্দ্র। দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দুজন। তাদের ব্যাটে চড়ে চাঙ্গা হয় চেন্নাইয়ের ইনিংস। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান তোলে চেন্নাই। পাওয়ারপ্লে শেষেও চলেছে রাহানে-রাচিনের বীরত্ব। ক্রিজে দারুণভাবে জমে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানের কার্যকরী ব্যাটিংয়ের ফলে কক্ষপথেই ছিল চেন্নাই। দুজনের জুটি ভাঙে দলের ৮৫ রানের মাথায়। ২২ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাহানে। তবে রাচিন টিকে থাকেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ফিফটিও। দারুণ খেলতে থাকা রাচিন থামেন দলীয় ১১৫ রানের মাথায়। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৬১ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ কিউই ব্যাটসম্যান। রাচিনের বিদায়ের পরই আসলে ব্যাকফুটে চলে যায় চেন্নাই। ১৫ বলে ৭ রান করে বিদায় নেন শিভাম দুবে। সুবিধা করতে পারেননি মিচেল স্যান্টনারও। ৪ বলে ৩ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের অসাধারণ এক ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১২৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন প্রচণ্ড চাপে চেন্নাই।  প্লে-অফে যেতে চেন্নাইয়ের সমীকরণ ছিল ২০১ রান করতে পারলেই চলবে, এরপর হেরে গেলেও সমস্যা নেই। তবে এই সমীকরণই বেশ জটিল হয়ে পড়তে থাকে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য। শেষ দিকে দলের হাল ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। দুজনের দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে বেশ জমে উঠে ম্যাচ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৩৫ রান আর প্লে-অফে যেতে দরকার ছিল ১৭ রান। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান ধোনি। তবে পরের বলেই আউট। এরপর ১ বল ডট। পরের বলে সিঙ্গেল নেন শার্দুল ঠাকুর। শেষ ২ বলে দরকার ছিল ১০ রান। জাদেজা স্ট্রাইকে থাকলেও নিতে পারেননি কোনো রান। ২৭ রানের দারুণ জয়ের ফলে প্লে-অফের টিকিট কেটে ফেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। লেখা হয়ে যায় প্রত্যাবর্তনের দারুণ এক গল্প। আর ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিদায় নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।  বেঙ্গালুরুর হয়ে ২ উইকেট নেন যশ দয়াল। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিন, লকি ফার্গুসন এবং মোহাম্মদ সিরাজ।    
প্রথমবার কিংস অ্যারেনায় গিয়ে যা বললেন পাপন
বর্তমানে দেশের ফুটবলের সব থেকে সফল এবং শক্তিশালী ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। ক্লাবটি যা করে দেখিয়েছে, তা আর কোনো ক্লাব করতে পারেনি।  ২০২২ সাল থেকে নিজস্ব ভেন্যুতে খেলছে তারা। এ ছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে প্রায় ৩৫০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স। ঘরের মাঠে আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের টানা পঞ্চম শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতেছিল কিংসরা। শনিবার (১৮ মে) চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে ট্রফি প্রদান করতে প্রথমবার কিংস অ্যারেনায় পা রাখেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। পুরো স্টেডিয়াম ঘুরে দেখার সুযোগ হয়নি তার। তবে যতটুকু দেখেছেন, তাতেই মুগ্ধতা ছেয়ে গেছে তার মনে।   পাপন মনে করেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগ দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসবে। তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়ামটা পুরোপুরি দেখা হয়নি। তবে বাইরের থেকে যেটা বুঝছি স্টেডিয়ামটা খুবই সুন্দর। মাঠ তো ডেফিনেটলি ভালো। ভেতরের ফ্যাসিলিটিজগুলো আমি জানি না। তবে আমি নিশ্চিত তারা (বসুন্ধরা কিংস) যেহেতু বানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানেরই বানিয়েছেন।’ ‘ক্লাবগুলোকেই নিজস্ব ফ্যাসিলিটিজ তৈরি করতে হবে। ফুটবল বলেন ক্রিকেট বলেন, ওদের (বাইরের দেশে) ওখানে গিয়ে দেখেন, ওদের কী ফ্যাসিলিটিজ আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের ক্লাবগুলো ওই জায়গায় আসেনি। বসুন্ধরা এরকম একটা নতুন শুরু করল। এটা দেখে আমি মনে করি অন্য যারা আছে উদ্বুদ্ধ হবে। শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’ প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে টানা পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হলো কিংস। দেশের ফুটবল ইতিহাসে ইতোমধ্যেই নিজের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছে তারা। বাকিরা কোনো প্রতিদ্বন্দিতাই উপহার দিতে পারছে না। কিংসকে কৃতিত্ব দিয়ে পাপন বলেন, বসুন্ধরা কিংস একাই নয়, অন্যরাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই দল গড়েছে। বসুন্ধরা ভালো খেলেছে, তাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই কৃতিত্বটা বসুন্ধরার। এই প্রতিযোগিতাটা যত বাড়বে তত খেলার মান বাড়বে।’  
বেঙ্গালুরুর পুঁজি ২১৮ / প্লে-অফে উঠতে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ২০১ রান
প্লে-অফের ওঠার কঠিন লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমীকরণ মেলানোর ম্যাচে আগে ব্যাট করে চেন্নাইকে ২১৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে কোহলিরা।  তবে যদি চেন্নাই ২০১ রান করলেই কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর। কারণ, প্লে-অফে উঠতে হলে চেন্নাইকে ন্যূনতম ১৮ রানের ব্যবধানে হারাতে হবে বেঙ্গালুরুকে। শনিবার (১৮ মে) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান। তবে তিন রানের জন্য ফিফটি পাননি কোহলি। ২৯ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ভারতীয় ব্যাটার। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন ডু প্লেসিস। ৩৯ বলে ৫৪ রান করে আউট হন এই প্রোটিয়া ব্যাটারও। ক্যামরুন গ্রিনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রজত পাতিদার। ২৩ বলে ৪১ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই তরুণ ব্যাটার। এরপর ৫ বলে ১৪ রান করে আউট হন দিনেশ কার্তিক। শেষ পর্যন্ত গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৫ বলে ১৬ রান এবং ক্যামরুন গ্রিনের ১৭ বলের হার না মানা ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে ২১৮ রানের বড় পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু। চেন্নাইয়ের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন  শার্দুল ঠাকুর। এ ছাড়া তুষার দেশপান্ডে এবং মিচেল স্যান্টনার নেন একটি করে উইকেট।
টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে যা জানালো বিসিবি
দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। ইতোমধ্যে স্কোয়াড ঘোষণার পর্ব শেষ করেছে দলগুলো। স্কোয়াডের পরই দলগুলোর বড় চমক থাকে জার্সিতে। পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মতো দলগুলো চমক দিয়ে জার্সি উন্মোচন করেছে। তবে এখনও প্রকাশ করা হয়নি টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সি। যে জার্সিটি পরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে টাইগাররা, তা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে দর্শকদের। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে বিসিবি। শনিবার (১৮ মে) মিরপুরে জার্সি উন্মোচন নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল।  তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের আগে জার্সি উন্মোচন করতে। অন্যান্য দেশের নিজস্ব প্ল্যান থাকে, তাই তারা দিয়েছে। আমাদেরও নিজস্ব একটা প্ল্যান ছিল। সেজন্য আমরা ওয়েট করছিলাম। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা দেখতে পাবেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জার্সি অনেক আগেই প্রস্তুত হয়ে গেছে। আমরা প্ল্যানটা করেছিলাম এইভাবে যে, যেহেতু আমাদের অনেক খেলা ছিল। আপনারা জানেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলছিল। জার্সিত কিছু শুভেচ্ছা বাণী থাকবে, যেটা আমি এখনি বলতে পারছি না। আগামী ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৮ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে।  ১০ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সদস্যদের নতুন নতুন উপাধি দিলেন হাথুরুসিংহে
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রিজার্ভসহ মোট ১৭ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি); যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে দেশ ছাড়ার আগে শিষ্যদের নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে গেছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এ ছাড়াও ক্রিকেটারদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন উপাধি দিয়েছেন তিনি। শনিবার (১৮ মে) নিজেদের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে সেই ভিডিও প্রকাশ করেছে বিসিবি। যেখানে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে টাইগার হেড কোচকে।  প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল নেতৃত্ব দিবেন নাজমুল হাসান শান্ত। তাকে নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, শান্ত আমাদের অধিনায়ক। খুব ভালো নেতা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে জানে। ছেলেদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে মিশতে পারে ভালো, আবার মাঠে নেমে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে যায়।  ‘আমার মনে হয় তার হাতে এবার বিশ্বকাপে বড় দায়িত্ব প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য সে যে প্রস্তুত এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’ তাসকিন আহমেদ এবার বিশ্বকাপে যাচ্ছেন সহ-অধিনায়ক হিসেবে। দলের তারকা পেসারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন হাথুরু, ‘তাসকিন মানুষ হিসেবে বেশ আবেগী। সে যদি ভালো মুডে থাকে, আমরা তার কাছ থেকে সেরাটা পাই। সতীর্থ ও কোচিং স্টাফের কাছে তার জনপ্রিয়তা অনেক। সব সময় দলের জন্য সেরাটা দেওয়া ও উন্নতির চেষ্টা করে। দলের মধ্যে তাসকিন দারুণ চরিত্র।’ টানা ব্যর্থতার পরও লিটন দাসকে দলে নেওয়ায় অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে লিটনের ওপর ভারসা রাখছেন হাথুরু। তিনি বলেন, লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ব্যাটিংয়ে এই বিশ্বকাপে তার কাছ থেকে আমি বড় কিছু প্রত্যাশা করি। খুবই প্রতিভাবান সহজাত অ্যাথলেট। সে উইকেটকিপিং করতে পারে, অন্যতম সেরা ফিল্ডারও।  ‘যেকোনো পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারে। সার্কেলের ভেতরে বা বাইরে, যেকোনো জায়গায় থাকে। মাঠের বাইরে খুবই শান্ত। খেলাটা খুব ভালো বুঝে। দলকে টেকটিক্যালিও সাহায্য করে।’ এবার বিশ্বকাপে খেলতে নেমেই নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। রেকর্ড নবম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও সাকিব। তাই সাকিবকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টাইগার কোচ। হাথুরু বলেন, সে খেলাটার কিংবদন্তি। আমরা সবাই জানি সাকিব সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে। আমি আশা করি এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার সবচেয়ে সেরা আসর হবে। তিন বিভাগেই অবদান রাখবে। ভালো নেতা দলের সঙ্গে থাকে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে খুব ভালো মিশতে পারে, তাকে সবাই সম্মান করে। খেলাটাকে খুব ভালো বুঝে।  অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে টাইগার কোচ বলেন, মাহমুদউল্লাহ সম্ভবত দলের স্পিরিট। সে দলের মধ্যে শান্ত একটা ভাব নিয়ে আসে। সে যখন কথা বলে, সবাই সেটা শুনে। আমার মনে হয় সে এখন খুব ভালো অবস্থায় আছে মানসিকভাবেও।  ‘তার ব্যাটিং সাম্প্রতিক সময়ে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে। তার খেলায় ভয়হীন ব্যাপার আছে। সে দলের জন্য ভালো। চাপের পরিস্থিতি সামলে নিয়ে তরুণদের পরামর্শ দেবে বিশ্বকাপে।’ তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে হাথুরু মন্তব্য, আমি তামিমকে নিয়ে খুবই রোমাঞ্চিত। ব্যাটার হিসেবে তার সামনে অনেক বড় ভবিষ্যৎ আছে পড়ে আছে বলে মনে হয়। শট খেলায় সময় পায় বেশি। যখন খেলে মনে হয় তার হাতে বাকিদের চেয়ে বেশি সময় আছে। দুর্দান্ত ফিল্ডারও তামিম। সৌম্য সরকারে প্রতিভা নিয়ে কোচ বলেন, সে প্রতিভার সহজাত। সেরা সময়ে কী করতে পারে তা আমরা জানি। তিন সংস্করণেই অবদান রাখতে পারে। যখন সেরা জায়গায় থাকে, সে ম্যাচ উইনার। আশা করছি সে বিশ্বকাপে আমাদের কয়েকটা ম্যাচ জেতাবে। আরেক তরুণ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়কে রোমাঞ্চকর খেলোয়াড় উপাধি দিয়েছেন হাথুরু, তরুণ একজন রোমাঞ্চকর খেলোয়াড়। নিজের মতো করে খেলতে পছন্দ করে। এমনিতে সাধারণ খেলোয়াড়দের চেয়ে সে আলাদা। খুবই প্রতিভাবান, খুবই গতিময়। তার সবকিছুই দ্রুত চলে। ফিল্ডিং, কথা বলা, হাঁটা সবকিছুতেই গতি বেশি। দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়। সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলি অনিককে ভার্সেটাইল খেলোয়াড় উপাধি দিয়েছেন হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, জাতীয় দলে জাকের নতুন। আমি এখন পর্যন্ত যা দেখছি তার ব্যাটিংয়ে সময় শান্ত একটা ভাব থাকে।  ‘চাপের সময়ে সে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে পারে। ভার্সেটাইল প্লেয়ার। কিপিং করতে পারে, ফিল্ডিং করতে পারে। অনুশীলনের সময় অনেক পরিশ্রম করে। আমার মনে হয় সে এই বিশ্বকাপে চমক হতে পারে।’ আইপিএল খেলে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে হাথুরু বড় স্বপ্ন দেখছেন। বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে হাথুরু বলেন, তাকে নিয়ে আমি কী বলব? ফিজ হচ্ছে বিশেষ ধরনের পেসার, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল বিশ্ব ক্রিকেটেই। সে তার কব্জি দিয়ে অনেক কিছু করতে পারে, যেটা খুব কম লোকই পারে।  ‘অভিজ্ঞতা আছে, আইপিএল খেলেছে। দলের মিটিংয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে পারে। সে খুব মজার। সে যা বলে আমি অনেক কিছুই বুঝি না। কিন্তু দেখে মনে হয় সবাই খুব উপভোগ করে। সে যখন কিছু বলে, সবাই হাসে।’ শরিফুলকে নিয়ে হাথুরু বলেন,  সে ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা, বাঁহাতি পেসার। খুব গতিতে বল করতে পারে। দারুণ প্রতিভাবান। দলের মধ্যে আগ্রাসী একজন। সে একটা জিনিসই জানে উইকেট নিতে হবে। সে খুবই টাস্ক ওরিয়েন্টেড। সে গোল্ডফিশের মতো, দ্রুত ভুলে যায় কী হয়েছে। সে সব সময় আত্মবিশ্বাসী। দারুণ ফিল্ডার। আমার মনে হয় সে ব্যাটিংয়েও অবদান রাখতে পারে। আরেক তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে হাথুরু বলেন, আমার মনে হয় তার সংকল্প হচ্ছে আসল ব্যাপার। খুবই দৃঢ়চেতা মানুষ। চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না। নিজের দক্ষতাকে বাড়াতে চায়। দলকে সাহায্য করে। যখন খেলে না তখনো ভালো সতীর্থ। আপনি বলতে পারেন তার বড় হৃদয় আছে।  অন্যদিকে মিরাজকে সরিয়ে দলের জায়গা করে নেওয়া শেখ মাহেদীকে নিয়ে বেশ আশাবাদী হাথুরু, শেখ মাহেদী আরও একজন ভার্সেটাইল খেলোয়াড়। তার মূল দক্ষতা বোলিং, নতুন বলে সেও বল করতে পারে। চাপের সময়ে সে খুব চালাকি করতে পারে।  ‘আমার মনে হয় সে দলের মধ্যে ‘জোকসের’ কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। তাকে নিয়ে সবাই মজা করে ড্রেসিংরুমে। সে নিজের সবকিছু দেয় যখন খেলতে নামে।’ দলের একমাত্র লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। যার ব্যাট হাতে বড় শট খেলার সামর্থ্য রয়েছে। তার ফিল্ডিং দক্ষতাকেও দলের জন্য বাড়তি পাওনা বলে মনে করেন এই লঙ্কান হেড মাস্টার। হাথুরুর মতে, রিশাদ খেলোয়াড় হিসেবে কীভাবে উন্নতি করছে সেটা দেখার জন্য আমি খুব রোমাঞ্চিত। যখন আমরা তাকে প্রথম দেখি, বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেগ স্পিনার খুবই কম।  ‘সে ক্ল্যাসিক্ল্যাল লেগ স্পিনার নয় পুরো দুনিয়াতে যেমন দেখা যায়। কিন্তু সে খুবই লম্বা, ভালো অ্যাথলেট। দুর্দান্ত ফিল্ডার, দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। দ্রুত শিখতে পারে। জানি না তার মাথার ভেতর কী কাজ করে, কিন্তু চাপের সময়ে তাকে নির্ভার লাগে। সে ব্যাটিংয়ে ভালো পারফরম্যান্স দিচ্ছে। আমি চাইবে, সে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক হবে।’
কঠিন সমীকরণের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাটিংয়ে বেঙ্গালুরু
চলতি আইপিএলে ইতোমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফেলেছে তিন দল। যেখানে রয়েছে কলকাতা, রাজস্থান ও হায়দ্রাবাদ। তবে বাকি এক দল চূড়ান্ত হবে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর মধ্যেকার লড়াই দিয়ে। প্লে-অফ উঠতে দুই দলই কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে। শনিবার (১৮ মে) লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই। বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চেন্নাই।  ফলে বেঙ্গালুরু যদি চেন্নাইকে ২০০ রানের লক্ষ্য দেয়, তাহলে ১৮৩ রান করতে পারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হবে ধোনিদের। অর্থাৎ ১৮ রানের চেয়ে কম ব্যবধানে হারলেও প্লে-অফে যাবে গায়কোয়াড়ের দল। চেন্নাই একাদশ : রুতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), অজিঙ্কা রাহানে, ড্যারিল মিচেল, রবীন্দ্র জাদেজা, মিচেল স্যান্টনার, মহেন্দ্র সিং ধোনি, শার্দুল ঠাকুর, তুষার দেশপান্ডে, মাহেশ থিকশানা, সিমারপ্রীত সিং। বেঙ্গালুরুর একাদশ : ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, গ্লেন-ম্যাক্সওয়েল, রজত পাতিদার, কারান শর্মা, মাহিপাল লোমরোর, ক্যামরুন গ্রিন, মোহাম্মদ সিরাজ, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), যশ দয়াল, ও লকি ফার্গুসন।