images

বাংলাদেশ / জাতীয়

অভিযান স্থগিতের পর বেড়েছে ভাড়া নৈরাজ্য

বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭ , ০২:১১ পিএম

বিআরটিএ ও পরিবহন মালিকদের বৈঠকের পর বন্ধ হলো সিটিং সার্ভিস বিরোধী অভিযান। ফলে ঢাকায় পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থা চলবে আসছে ১৫ দিন। তবে অভিযান স্থগিতের পর বেড়েছে বাস ভাড়ার নৈরাজ্য।

বিআরটিএ ঘোষণা দিয়েছিল সিটিং হিসেবে চললেও নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করা যাবে না। কিন্তু ১৫ দিনের জন্য পরীক্ষামূলক চলার প্রথম দিনেই সেটা মানছে না পরিবহন কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের থেকে আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছেমতো ভাড়া।

বৈঠকের পর সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেছিলেন, এই ১৫ দিন সিটিং হিসেবে চললেও বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করা যাবে না। কিন্তু তার এ ঘোষণা কোনো কাজে আসেনি। যাত্রীদের থেকে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছেমতোই।

বৃহস্পতিবার সকালে থেকে ঢাকার রাস্তায় চলা কোনো বাসেই ছিল না বিআরটিএ’র নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকার টিকিট। যাত্রাবাড়ী থেকে উত্তর ও পশ্চিম অংশে চলাচলকারী বাসগুলোতে সর্বনিম্ন ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা। সাইনবোর্ড থেকে ঢাকা মেডিক্যাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবহনে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা।

যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুর-১২ পর্যন্ত চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনে টিকাটুলির জয়কালী মন্দির থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১৫ টাকা। কিন্তু একদিন আগেও ভাড়া ছিল ১০ টাকা।

এদিকে সিটিং সার্ভিস বন্ধে বিআরটি’র অভিযানের মুখে উধাও হয়ে যাওয়া বাসগুলো ফিরতে শুরু করেছে সিটিং সার্ভিসের সঙ্গে। গেলো ৪দিন যে সব বাস রাস্তায় দেখা যায়নি সেগুলো দেখা গেছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই।

গেলো রোববার রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে বিআরটিএ। এই অভিযানে অংশ নেয় পরিবহন মালিক সমিতিই। কিন্তু আবার তারা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বাস সংখ্যা কমিয়ে দেয়।

যদিও অভিযান পরিচালনার সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেছিলেন, রাস্তায় বাস কমিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। উল্টো পরিবহন মালিকদের চাপের মুখে অবৈধ সিটিং সার্ভিসকে বৈধতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

এইচটি/জেএইচ