শনিবার, ০৬ মে ২০১৭ , ০৭:৪৩ পিএম
নৌকা করে ইউরোপগামীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যাই সবচে’ বেশি। জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম কর্মকর্তা ফ্লাভিও দি গিয়াকোমো।
তিনি জানান, গেলো বছরের প্রথম তিন মাসে ইউরোপের দেশ ইতালিতে ঢোকা বাংলাদেশি ছিলেন মাত্র একজন। এ বছরে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৩১ জনে। এটি শরণার্থীদের জাতীয়তার পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরে।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই কিংবা তুরস্ক হয়ে প্রথমে লিবিয়া পৌঁছতে হয়। এরপর ভূমধ্যসাগর নৌকায় পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছান তারা।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে ঢোকার অবৈধ পথটি বেশ বিপদসংকুল। সেখানে নৌকাডুবিসহ নানা কারণে এ বছর প্রায় ১১শ’ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার হলেও ইউরোপমুখে তাদের সংখ্যাধিক্যের কারণ ব্যাখ্যা করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দি রয়াল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের গবেষক গ্যারেথ প্রাইস বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশ হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যুদ্ধাপরাধে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর দলটির অনেকে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাচ্ছেন। ইউরোপ সেক্ষেত্রে ভালো গন্তব্য।
কেউ যদি একটা রুট তৈরি করতে পারে, তারপর মানুষের ব্যবহারে দ্রুতই তা জমজমাট হয়ে ওঠে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক নিকোলাস ম্যাকগিহান বলেন, ঢাকা থেকে দুবাই পর্যন্ত রুটটিতে অসাধু জনশক্তি রপ্তানিকারকদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। তারা (জনশক্তি রপ্তানিকারক) অনেক যুবকের কাছে স্বপ্ন বিক্রি করে, কিন্তু সেই যুবকদের স্বপ্ন বেশির ভাগ সময় খান খান হয়ে যায়।
রেমিট্যান্সের আশায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সরকার জনশক্তি রপ্তানিতে এ অনিয়মের বিষয়ে উদাসীন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার যুক্তরাজ্যের দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
কে/সি