বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০১৭ , ০৩:১৭ পিএম
জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের ৪র্থ বাজেট এটি।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য একনেক মোট ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। সেখান থেকে এবারের বাজেটে বেশকিছু খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এডিপি থেকে পরিবহন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে বরাদ্দ এবং পেনশন অবসর ভাতায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেশি।
এর মধ্যে মূল এডিপি হচ্ছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। মূল এডিপির সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ থাকবে ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
এছাড়া বাজেটে আগামী অর্থবছরের অনুমোদিত এডিপির মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর বৈদেশিক উৎস থেকে ব্যয় হবে ৫৭ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটে ব্যয় মেটাতে সরকারি অনুদানসহ আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাথ ৯৩ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। মোট ঘাটতি ১ লাখ ৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা।
উন্নয়ন বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ বেশি পেয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
পরিবহন খাতে ব্যয় হবে ৪১ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৮৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। যাতে ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রস্তাবিত অনুন্নয়ন বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সরকারের সুদ পরিশোধে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ বেশি পেয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এবং পেনশন অবসর ভাতায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।
এছাড়া ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে ১৪ হাজার ৯৪৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ১৪ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এইচটি/সি