শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ , ১২:১৫ এএম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়ে নিখোঁজের ৮ দিন পর কলকাতার একটি এলাকায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত ১০টা ২০মিনিটের দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।
স্ট্যাটাসে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন লেখেন,
আমার দীর্ঘ নিশ্বাসে তোমার হত্যার মানুষ নামে পশুর বিচার হবেই ইনশাআল্লাহ বাবা। আমি তো আছি তোমার মেয়ে আমি আনারের সন্তান এটাই আমার পরিচয়।
তার আগে সকাল ৬টা ৩২ মিনিটে দেওয়া স্ট্যাটাসে ডরিন লেখেন,
আমি আব্বু ডাকতে পারি না
আমি তো এতিম
তুমি কি দেখতেছো আব্বু?
এছাড়া বুধবার (২২ মে) রাত ১১টার দিকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন,
আব্বু তোমার অনেক কষ্ট হয়েছিল তাই না?
তুমি তো আমাকে নিয়ে যেতে চেয়ে ছিলে আমিই যায় নি
ভিসা ছিলো না আমার
আমি তোমার কষ্টের ভাগ নিতে পারলাম না
তুমি কতো কষ্ট পেয়েছো এটা ভাবলে আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছা শেষ আমি তোমার এতো আঘাত ব্যাথা সহ্য করতে পারি না
আল্লাহ কি নেই?
এত কষ্ট দিয়ে কোন মানুষ মানুষ কে মারতে পারে বলে আমার জানা ছিলো না।
আমি বিচার চাই আমি বিচার চাই
আমি ওদের লাশ দেখতে চাই নির্মমভাবে।
এর আগে বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে স্ট্যাটাসে ফেরদৌস ডরিন লেখেন, ‘আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ধৈর্য ধরো বিচার হবে।’
এর আগে দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডরিন বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করে আমাকে এতিম করে দিলো, আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের দেখতে চাই, তাদের ফাঁসি চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। তবে আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমি দেখতে চাই।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিবঙ্গে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৬ মে দিল্লি যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হন তিনি। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিশ আনারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) অপহরণের অভিযোগে মামলাটি করেন এমপি আনারের মেয়ে মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন। তবে এতে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী।