মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ , ১১:২০ এএম
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে তীব্র বল প্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। দেশব্যাপী আন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনাকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ‘গ্যাং অব ফোর’।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত ২৫ মে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৪ আগস্ট রাত ১২টার দিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী কয়েকজন মন্ত্রী ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি উঠলে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং বলেন, যা হওয়ার হবে, ক্ষমতা ছাড়বেন না। তিনি সেনাপ্রধানকে কঠোর হয়ে বিক্ষোভ দমনের নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনার ওই বক্তব্যের পর তৎকালীন প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেছিলেন, সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে কিছু লোককে মেরে ফেললে আন্দোলন এমনিতেই দমন হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, তিনি বিমানবাহিনীকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কথাও বলেন। তখন, বিমানবাহিনীর প্রধান ভীষণ রেগে যান। তিনি শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, তিনি (তারিক আহমেদ সিদ্দিক) আপনাকে ডুবিয়েছে এবং আরও ডুবাবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তীব্র আন্দোলনের মধ্যে ৪ আগস্ট রাতে শেখ হাসিনাকে আরও কঠোর অবস্থানে থাকতে বলেন ‘গ্যাং অব ফোর’। তারা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পরদিন (৫ আগস্ট) অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকলে সামরিক কর্মকর্তারা, শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করতে বলেন। কোনো কিছুই কাজ না হওয়ায় সামরিক কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার ছেলে জয়ের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা এবং জাতির উদ্দেশে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের আগে তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
আরটিভি/আরএ/এস