images

বাংলাদেশ

সমাজছাড়া হবার ঝুঁকিতে ৪০ ভাগ তরুণ

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ , ০৭:৩৫ পিএম

দেশের ৪০ শতাংশ তরুণ কোন কাজের সঙ্গে জড়িত না, কোন প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন না। নিষ্ক্রিয় এসব তরুণ দেশের শ্রমবাজারে কোন ভূমিকাই রাখতে পারছেন না। 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও’র ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক ডিকেড : এশিয়া, প্যাসিফিক অ্যান্ড দ্য আরব স্টেট’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-ওইসিডি বলছে, সমাজচ্যুত হবার ঝুঁকিতে আছেন এসব তরুণ।

প্রতিবেদনটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১ দেশের ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের ওপর গবেষণা চালিয়ে তৈরি করা হয়েছে। শতাংশ বিবেচনায় এদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারেই নিচে। এরচে’ খারাপ অবস্থা কেবল মালদ্বীপ ও ইয়েমেনের। ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এক্ষেত্রে বেশ উন্নত বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে ।

দেশে ঠিক কত তরুণ সমাজ থেকে বিচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে, তা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। ২০২০ সালের মধ্যে নিষ্ক্রিয় তরুণের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চাইলে নিষ্ক্রিয় তরুণদের কর্মবাজারে নিয়ে আসতে হবে।

ধনী দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) বলছে, এ ধরনের তরুণের মধ্যে যাঁরা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন এবং নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করার মতো দক্ষতা নেই, তারা সমাজছাড়া হবার ঝুঁকিতে থাকেন।

আইএলও’র আলোচ্য প্রতিবেদনটি ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, গত এক দশকে এ অঞ্চলে যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি হয়েছে, তার ভাগ এসব তরুণ পাননি। এ সময়ে শ্রমবাজারে তারুণ্যের  উপস্থিতি সহজ ছিল না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক তরুণের শিক্ষা গ্রহণের সামর্থ্য না থাকায় পড়াশোনা ছেড়ে দেন। পরিবারও এদের সহায়তা করতে পারে না, বরং পরিবারকেই সহায়তা করতে হয়। ফলে এসব তরুণ জীবিকার জন্য যে কাজ পান, তা-ই করতে শুরু করেন। এ কাজ সাধারণত হয়ে থাকে অপ্রাতিষ্ঠানিক।

এসজে/এসজেড