images

স্বাস্থ্য / বাংলাদেশ / জাতীয়

সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ইজতেমা মাঠে কোয়ারেন্টিন ইউনিট

বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০ , ০৮:২৫ পিএম

images

করোনাভাইরাসের আক্রমণ বেড়ে গেলে বেশি মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে কোয়ারেন্টিন ইউনিট করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি যথেষ্ঠ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। ওখানে তারা মেরামত করবে, সাফসুতরো করবে এবং ওইটাকে পরিচালনার দায়িত্বও তাদের দেওয়া হয়েছে। ওখানে সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে, যতটুকু ওখানে সম্ভব। ওখানে তো আপনি বড় বড় আইসিইউ মেশিন এখনই নিয়ে যেতে পারবেন না। কোয়ারেন্টিন করার মতো যা কিছু লাগে, সেটা আপাতত তারা রাখবে।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনে ‘এলাকা ভিত্তিক লকডাউন’ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৭ জনের এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর দিয়েছে সরকার, মৃত্যু হয়েছে একজনের।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৫৮টি দেশে ২ লাখ ১৮ হাজার মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; মৃতের সংখ্যা ৮৮০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের ওপর জারি করা হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। যারা বিদেশ থেকে আসবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

বিদেশফেরত কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর, কাশি, গলাব্যথা) থাকলে তাকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে, একে বলা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন। আর যাদের মধ্যে উপসর্গ নেই, তাদের যার যার বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে, একে বলা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টিন।

কিন্তু বিদেশফেরত অনেকে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে না থেকে মর্জি মাফিক ঘুরে বেড়ানোয় পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মানতে বাধ্য করতে জেলায় জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে জরিমানা করার খবর আসছে।

জিএ