শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ , ১১:৩০ পিএম
যখন কোনো দল দেশের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করে। নিজ স্বার্থে তাদের হত্যা করে তখন তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করার যোগ্যতা হারায়। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়।
শুক্রবার রাতে ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
সজিব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, আপনারা সবাই জানেন যে; কানাডার একটি আদালত বিএনপি’কে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করেছে। ২০১৩-২০১৫’তে বিএনপির আগুনবোমা সন্ত্রাসের সময় হাসপাতালের একটি বার্ন ইউনিট দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখে আমি আঁতকে উঠেছি। এ ভয়াবহ দৃশ্য ছিল অকল্পনীয়। এ আগুনবোমা রাজনীতি হতে পারে না। এটা ছিল স্পষ্টই সন্ত্রাসবাদ।
তিনি লিখেছেন, অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতায় আমাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখেছি। সেটা পুলিশ কিংবা সরকারি দলের কর্মীদের সঙ্গে আমাদের কর্মীদের প্রতিরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র জামায়াত-বিএনপি দলই বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাস করলো। যখনই কেউ বেসামরিক নাগরিকদের ওপরে হামলা চালায়, তখন সে সংগঠন রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করার অধিকার হারায়-উভয়েই সন্ত্রাসী সংগঠন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা লিখেছেন, প্রথমটি হলো জামায়াত-ই-ইসলাম, এদের সঙ্গে ছিল আল-বদর, আল-শামস, ইত্যাদি বেসামরিক সেনাবাহিনী, যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন এবং হত্যা করেছিল। দ্বিতীয়টি হলো বিএনপি, যারা বিগত নির্বাচনের সময় বাস, ট্রেন ও গাড়িতে আগুনবোমা নিক্ষেপ করেছিল। এখানে কোনো সন্দেহই নেই যে, বিএনপি ও জামায়াত একে অপরের সঙ্গী।
জয় আরো লেখেন, যেভাবে আমরা ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছি, আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার এ আগুনবোমা নিক্ষেপকারী অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনবে। যেসব বিএনপি কর্মী ও নেতারা এসব আক্রমণ করেছে; যারা এতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং যারা এসব হামলা অনুমোদন দিয়েছে সবাইকে যতো দিনই লাগুক না কেনো শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
এইচটি/ডিএইচ