images

অপরাধ

রেইনট্রি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ব্যবস্থা (ভিডিও)

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭ , ০৩:৪৪ পিএম

হোটেল রেইনট্রি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মাদক ও ভ্যাট আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বললেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইলে সংস্থার কার্যালয়ে রেইনট্রি’র এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মইনুল খান বলেন, অবৈধ মাদক ও ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তিনি সেখানে থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ বোতল মদের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানালেন।

তিনি বলেন, হোটেল রেইনট্রি’র এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কিছু প্রশ্ন ছিলো মৌখিক। কিছু লিখিত। উনার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই বাছাই করা হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।

এদিকে রেইনট্রি’র এমডি আদনান হারুন বলেন, আমাদের হোটেলে কোনো মাদক সরবরাহ করা হয় না। শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে সেখানে মাদক কি করে এলো তা আমাদের জানা নেই।

মঙ্গলবার সকালে অবৈধভাবে মদ রাখা ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দেয়া নোটিশের জবাব দিতে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে আসেন হোটেল রেইনট্রি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. আদনান হারুন। বেলা ১১টা থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

এর আগে হোটেলে পাওয়া মদের বিষয়ে জানতে গেলো ১৫ মে হোটেল রেইনট্রি’র এমডিকে নোটিশ দেয় শুল্ক গোয়েন্দা। তাতে বলা হয় ১৭ মে নিজে হাজির হয়ে নোটিশের জবাব দিতে।

এরপর আদনান হারুন আইনজীবীর মাধ্যমে এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরে তা বিবেচনায় নিয়ে ২৩ মে তাকে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়।

গেলো ২৮ মার্চ বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে ধর্ষণের শিকার হন বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ওই ঘটনা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ১৪ মে সেখানে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা। অভিযানে ১০ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। তবে মদ সংরক্ষণ বা বিক্রয়ের অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ।

গেলো ২৮ মার্চ বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন ২ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় গেলো ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। এরপর আলোচনায় আসে দ্য রেইনট্রি হোটেল।

 

 

এইচটি/জেএইচ