images

অপরাধ

সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় অভিযোগ নিল পুলিশ

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ , ০৩:৩৭ পিএম

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতালে দুই সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ। জানালেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক।

শুক্রবার এটিএন নিউজের উপ-ব্যবস্থাপক মোশাররফ আলম সিদ্দিকি শাহবাগ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তেল-গ্যাস-খনিজ-সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা আধা-বেলার হরতালের খবর সংগ্রহ করছিলেন দুই সংবাদকর্মী। হরতালের শেষ দিকে বেলা পৌনে দু’টার দিকে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ওই সময় ক্যামেরাপারসন আবদুল আলীম সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর আলীমকে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় ও রাইফেলের বাট দিয়ে পেটান পুলিশ সদস্যরা। ক্যামেরা কেড়ে নেয়ারও চেষ্টা করেন তারা।

আলীমকে মারধর করতে দেখে ওই চ্যানেলের প্রতিবেদক কাজী ইহসান বিন দিদার এগিয়ে যান। পুলিশ তাকেও কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় ও রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে তাদের দু’জনকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য মিলে লাথি মারতে মারতে, টেনেহিঁচড়ে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, থানার ভেতরেও দুই সাংবাদিককে মারধর করেন পুলিশ সদস্যরা। ভাঙচুর করা হয় এটিএন নিউজের ক্যামেরা। এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত কয়েকজন সহকর্মী তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা আলীম ও দিদারকে উদ্ধার করেন। পুরো ঘটনার ভিডিও চিত্র ও স্থির চিত্র সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে শাহবাগ থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ মণ্ডল, পুলিশ কনস্টেবল মোখলেছুর, পুলিশ কনস্টেবল হোসেন কবির ও পুলিশ কনস্টেবল সবুজ খানকে শনাক্ত করা যায়। এ ছাড়া আরো অন্তত ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

এইচটি/ জেএইচ