বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০৫:৪১ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা হাসিনা চ্যাপ্টার ও ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ করে দিয়েছি। ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ প্রসঙ্গ এ দেশে আর নেই। যদি প্রাসঙ্গিকই থাকত, তাহলে ৫ আগস্ট তাদের পালিয়ে যেতে হতো না।
এ সময় গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, মিডিয়ায় এখনও দেখি ভাশুরের নাম মুখে নিতে কেমন যেন লাগে। এখনও সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেখা হয়। উনি (শেখ হাসিনা) কি সাবেক, নাকি ফ্যাসিবাদের ‘বুচার অব দিস মাদারল্যান্ড’?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আহ্বায়ক বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বুচার (কসাই)। তিনি চেয়ার টিকিয়ে রাখতে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন।
প্রশ্ন রেখে হাসনাত বলেন, কেন মিডিয়াতে ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা লেখা হয় না? ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা যদি না লেখেন বা না বলেন, আপনারা আওয়ামী কাঠামো বা মিডিয়া রয়েছে, সেটির সিলসিলা অব্যাহত রাখছেন।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার ভাষণ যদি কোনো মিডিয়ায় প্রচার করা হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, মিডিয়া হাসিনাকে এখনও সহযোগিতা করছে। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সুশীলতাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। তাই হাসিনার প্রশ্নে কোনো সুশীলতা নয়।
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রমুখ সংবাদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, আজ দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার–সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
সেখানে লেখা হয়, ‘খুনি, গণহত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো বক্তব্য যদি মিডিয়াতে প্রচার করা হয়, সেটার পরিণতি সেই মিডিয়াকেই নিতে হবে।’
আরটিভি/আইএম-টি