images

রাজধানী

পুড়ে যাওয়া সেই ভবন নিয়ে যা জানাল আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ

রোববার, ০৩ মার্চ ২০২৪ , ০৫:২৩ পিএম

images

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করেছে।  

অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে রমনা থানার এসআই শহিদুল ইসলাম মামলাটি করেন। 

মামলার এজাহারে ভবনটিতে থাকা ফাস্টফুড দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কজিকটেজের স্বত্বাধিকারী বলে উল্লেখ করা আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ (৩৪) এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুলকে (৪০) আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, মামলার পর আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান গাজী আহমেদ উল্লাহ্ জানিয়েছেন, গ্রিন কজিকটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয়। ভবনটি শুধু জয়েন্ট ভেনচারে নির্মাণ কাজটি (ডেভেলপার হিসেবে) সম্পন্ন করেছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। 

তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়ার ওই ভবনের জমির মালিক ছিলেন হামিদা খাতুন নামে একজন নারী। ডেভেলপার হিসেবে ২০১৫ সালে এ ভবন নির্মাণের পর তথা ৯ বছর আগে সম্পূর্ণভাবে তা মালিক বা স্পেস ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। 

গাজী আহমেদ উল্লাহ্ বলেন, বর্তমানে ‘গ্রিন কজিকটেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে ওই ভবনের আলাদা মালিক সমিতি আছে। এই মালিক সমিতি ভবনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ফলে ভুল তথ্য জেনে কোনোভাবে মামলায় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের নাম জড়ানো হয়েছে।

আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মামলা যেহেতু হয়েছে, তাই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পর আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সঠিক ও ন্যায়বিচার পাবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। 

উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার চারজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন ৭ সদস্যের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।