মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০ , ০২:৫৩ পিএম
পছন্দের ছেলেকে বাদ দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে অন্যের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা (২৫) নামে ওই ছাত্রী বড় ভাইয়ের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রুম্পা ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামের ফরিদ উদ্দিন মণ্ডলের মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। তিনি ঢাবির সামসুন্নাহার হলে থাকতেন। করোনাকালীন সময়ে ছুটির কারণে গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদীতে অবস্থান করছিলেন তিনি।
রুম্পার পারিবার আরটিভি নিউজকে জানায়, ঢাকার একটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ডিপ্লোমা শেষবর্ষের ছাত্র একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলামের সঙ্গে রুম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি রুম্পার বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলে রুম্পা রাজুকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না বলে তার সিদ্ধান্ত পরিবারকে জানান। কিন্তু রাজুর বাবা হাফিজুলের সঙ্গে তাদের পরিবারের পূর্ব বিরোধের কারণে রুম্পার বাবা ফরিদ মণ্ডল তাতে রাজি হননি। এসব নিয়ে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে রুম্পা কয়েকদিন আগে রাগ করে তার ভাই সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা রিপন মণ্ডলের বাসায় গিয়ে ওঠেন। সোমবার সেখানেই তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে রুম্পার বাবাকে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি।
ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দীন আরটিভি অনলাইনকে জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাবির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নেভিন ফরিদা বলেন, আমরা এই মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে শোকাহত, তার আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা শুনেছি পারিবারিক কলহের কারণে এমনটি হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, আমরা পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করেছি।
জিএ