সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৯:৪৪ এএম
হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের মানুষ। গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত ৫ দিন এই জেলায় সূর্যের দেখা মিলেনি। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। শীতে লালমনিরহাটে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে ১৩টি নদ-নদী তীরবর্তী ৬৮টি চরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। গবাদিপশুও রেহাই পাচ্ছে না শীতের প্রকোপ থেকে।
শিশু, বয়স্ক ও অ্যাজমা রোগীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। পাশাপাশি গবাদিপশুও শীতে কষ্ট পাচ্ছে। সড়কে গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তিস্তাপারের বেশির ভাগ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন শীতার্তরা। তারা বেশি ভিড় করছেন ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে।
‘গত ৫ দিন থাকি যে শীত বাহে ঘরত (ঘর) থাকি বেরের পাংনা (পারি না)। হামার তিস্তা পারত খুব ঠাণ্ডা। গত ৫ দিন থাকি কাজ কাম নাই বাহে ছোয়াপোয়া (ছেলে-মেয়ে) নিয়া কষ্টোত আচুং।’
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন তীব্র শীতে জুবুথুবু লালমনিরহাটের তিস্তা নদী পারের বাসিন্দা শফি মিয়া (৪৮)। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে তিস্তা-ধরলাসহ গোটা জেলার মানুষ। গত ৫ দিনে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইছে হিমেল হাওয়া। বৃষ্টির মতো শিশির ঝড়ছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চলের লোকজন কাজে বের হতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
শিশু, বয়স্ক ও অ্যাজমা রোগীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। পাশাপাশি গবাদিপশুও শীতে কষ্ট পাচ্ছে। সড়কে গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তিস্তাপারের বেশির ভাগ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন শীতার্তরা। তারা বেশি ভিড় করছেন ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে। নিজেদের সাধ্যমতো শীতের কাপড় কিনছেন শীতার্তরা।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ভাদাই ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের গোলাম মিয়া জানান, গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তিস্তার চর এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এখন পরিবারগুলো শীতে কাঁপছে। তাদের জন্য শীতবস্ত্র খুবই প্রয়োজন। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা বেশি ভর্তি হচ্ছেন। যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। শীত বস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
পি