বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ , ০৪:৩০ পিএম
ব্রিজ দাড়িয়ে আছে ঠিকই, শুধু দু’পাশের সংযোগ সড়ক নেই। বাঁশ-কাঠের তৈরি মই দিয়ে ব্রিজে উঠে পারাপার হতে হয়। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় বংশাই নদীর ওপর অবস্থিত এ ব্রিজের এক পাশে ধোপাখালী অন্য পাশে যদুনাথপুরের ইসলামপুর গ্রাম। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ৫ বছর আগে ব্রিজটি নিমার্ণের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ হয় এলাকাবাসীর।
ব্রিজটি নির্মাণের এত বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সুফল পাচ্ছে না লোকজন। দু’পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের দু’পাড়ের গ্রামবাসীদের যাতায়াত করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। যাতায়াতের জন্য মই বেয়ে উঠে ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মাটি থেকে প্রায় ৯/১০ ফুট উচ্চতায় ব্রিজে মই লাগিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করছে লোকজন। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পরছে মহিলা, বয়স্ক ও শিশুরা।
সরেজমিনে জানা যায়, ব্রিজটিতে দু’পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় কাঠ-বাঁশের মই বেয়েই তারা মাথায় বা কাঁধে করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে যান। তবে শুষ্ক মৌসুমে মই দিয়ে ব্রিজটিতে পারাপার করা গেলেও বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির প্রবল স্রোতের কারণে ব্রিজের দু’পাশে পারাপার বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, কবির হোসেন, রায়হান আহমেদ ও শিরিনা বেগম জানান, ব্রিজটি নির্মাণ হলেও দু’পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় অনেক অসুবিধায় আছি। ধোপাখালী ও যদুনাথপুর ইউনিয়ন দুটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত কৃষি পণ্য, শাক-সবজি ও ধানসহ নানা ধরনের ফসল কৃষকরা এ ব্রিজ পার হয়ে ধোপাখালী বাজারে বিক্রি করতে আসেন। এতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। এছাড়াও এ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য বেচাকেনা করে থাকেন আশেপাশের ৮/১০ গ্রামের লোকজন।
ধোপাখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজহার আলী বলেন, আমি বিষয়টি বারবার ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিতে চেয়েছেন।
ধোপাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বলেন, আমরা ব্রিজটির রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্ব-সহকারে দেখছি। যেন দ্রুত করা যায়। এলাকাবাসী রাস্তাটির জন্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগর জানান, ব্রিজটি এডিপি নির্মাণ করেছে। এখন আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে কাজ হবে।
এসআর/
আরটিভি’র সর্বশেষ নিউজ পেতে ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন...