মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ০৮:২৬ পিএম
ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু হরিজন সম্প্রদায়ের বেসরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র তপন রবি দাসের পেটে রিভলভার ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্র টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তপন রবি দাস। তপন রবি দাস টাঙ্গাইল শহরের বেবিস্ট্যান্ডের স্বর্গীয় নরেশ রবি দাসের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তপন রবি দাস জানান, সোমবার (৩১ মে) সকালে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক স্বপন চৌধুরীকে শহরের রেজিস্ট্রিপাড়াস্থ মেডিকো ক্লিনিকে নেয়ার জন্য তার বাসা থেকে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় কলেজপাড়া (হাজী রৌফের বাসার সামনে) মোড়ে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা তার প্রাডো গাড়ি দিয়ে রিকশার গতিরোধ করেন। গাড়ি থেকে নেমে এমপি রানা তার সঙ্গী রেজওয়ান খানকে (৩৫) নির্দেশ দেন তাকে ধরে আনতে।
রেজওয়ান খান, ইশতিয়াক আহমেদ রাজিব (৩২) ও তার ভাই শুভ (২৮), চাচাত ভাই মনছুর মিয়া (২৮) এবং মো. আব্বাস আলী (৪২) তাকে ঘিরে ফেলে এবং চ্যাংদোলা করে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার কাছে নিয়ে যায়। তপন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা স্বপন চৌধুরীর সঙ্গে থাকেন জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে সাবেক এমপি রানা লাইসেন্সকৃত রিভলবার বের করে পেটে ঠেকিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইল শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এরপর তপনকে শহরে দেখা গেলে গুলি করে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দিয়ে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে গাড়িতে উঠে চলে যান। এ সময় সাবেক এমপি রানার উপরোল্লিখিত সঙ্গীরা নানা রকম গালিগালাজ ও হুমকিও প্রদান করেন।
তিনি আরও জানান, এরপর বিষয়টি স্বপন চৌধুরী, তার পরিবার ও আ’লীগ নেতাদের জানান তিনি। পরে টাঙ্গাইল সদর থানায় নিরাপত্তার জন্য ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১৬০৬, তাং-৩১/০৫/২০২১ইং) করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অভিযোগকারী তপন রবি দাস, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক স্বপন চৌধুরী ও টাঙ্গাইল পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির্নু রহমান আমিন।
এসআর/