images

অপরাধ / দেশজুড়ে

‘আতিয়া মহলের তদন্ত শেষে দ্রুতই অভিযোগপত্র দাখিল’ (ভিডিও)

সোমবার, ১৫ মে ২০১৭ , ০৬:৫৪ পিএম

images

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে জানালেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের(পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক।

সোমবার সকালে আতিয়া মহল পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তদন্তকারী দলের সদস্যরা জঙ্গি আস্তানা ও আশেপাশের কক্ষগুলো পরিদর্শন করেন।

এর মাধ্যমে ‘আতিয়া মহল’ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার ও অভিযান চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় করা দু’টি মামলার তদন্ত শুরু হলো।

আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হয়। মামলা দু’টি তদন্ত করছিল মোগলাবাজার থানা-পুলিশ। ৯ মে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলা দু’টি পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি-পাঠানপাড়ার পাঁচতলা আবাসিক ভবন আতিয়া মহলের নিচতলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গেলো ২৩ মার্চ দিবাগত রাতে ভবনটি ঘিরে ফেলে পুলিশ।

২৪ মার্চ ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট অভিযানে অংশ নেয়। ২৫ মার্চ সকাল থেকে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। ২৫ মার্চ সকাল থেকে ২৮ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত আতিয়া মহলে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ পরিচালনা করে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল।

অভিযানের প্রথম দিন সন্ধ্যায় আতিয়া মহল-সংলগ্ন পাঠানপাড়া দাখিল মাদরাসার কাছে দু’দফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান, দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজন নিহত হন। আহত হন ৪৩ জন।

২৮ মার্চ সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর অভিযান অভিযান শেষ হয়। অভিযানে চার জঙ্গি নিহত হয়। এরপর আতিয়া মহলকে বিস্ফোরকমুক্ত করতে ‘অপারেশন ক্লিয়ারিং আতিয়া মহল’ শুরু করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। ১০ এপ্রিল এ অভিযানের সমাপ্তি টানা হয়।

১২ এপ্রিল ভবনের ফ্ল্যাটগুলো ভাড়াটেদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হলে তারা নিজেদের মালামাল সরিয়ে নেন। আতিয়া মহলে অভিযান শেষে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী। এসব বিস্ফোরক ও আলামত উদ্ধার করে বিস্ফোরক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নিহত চার জঙ্গির ডিএনএ পরীক্ষা করে লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে সিলেটে দাফন করে পুলিশ।

 

কে/এমকে