images

দেশজুড়ে

মাকে দেওয়া কথা রাখেনি সেই আ.লীগ প্রার্থী 

শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ , ০৩:৫৭ পিএম

images

আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন সহোদর ভাই মো. কামাল হোসেন। আর তাই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহারুলকে পরিবারের লোকজন বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইল জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। আত্মীয়-স্বজনরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছে দুইভাগে। 

মগড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম ছাড়াও তার ছোটভাই মো. কামাল হোসাইন (চশমা প্রতীক) প্রার্থী হয়েছেন। তিনি সদর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য।

এ ছাড়াও অপর দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোতালিব হোসেন (আনারস প্রতীক) ও সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম বুলবুল (মোটরসাইকেল)। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনজনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও  জাতীয় পার্টি থেকে এ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল বাছেদ মণ্ডল।

আজহারুল ইসলাম এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাকে এবার মোকাবিলা করতে হচ্ছে তার আপন ভাইসহ দলের তিন বিদ্রোহী প্রার্থীকে।

আপন দুই ভাই ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ায় বিষয়টি শুধু ওই ইউনিয়ন নয় পুরো টাঙ্গাইলে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দলের কিছু নেতাকর্মী বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের দিকে আবার কিছু নেতাকর্মী তার ভাইসহ অন্য বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছেন। তবে তাদের পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজনরাও বিভক্ত হয়ে গেছেন দুই ভাইয়ের দিকে। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহারুলকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে পরিবারের লোকজন। তিনি এখন ভাড়া বাসায় থাকেন বলে জানা গেছে।

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া বড়ভাই আজহারুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়ে তাদের সম্পর্কের অবনতি হবে না। পরপর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাই এলাকার মানুষ ও দল তাকেই চেয়েছে। এ জন্যই প্রার্থী হয়েছেন। ভাইকে তিনি ভাইয়ের চোখেই দেখেন।

ছোটভাই কামাল হোসাইন আরটিভি নিউজকে বলেন, গত নির্বাচনের সময় বড়ভাই তাকে তার মায়ের সামনে কথা দিয়েছিলেন এবার চেয়ারম্যান পদে তিনি প্রার্থী না হয়ে আমাকে প্রার্থী করবেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। মাসহ অপর ছয় ভাই এবং বেশিরভাগ আত্মীয়স্বজনের তার প্রতি সমর্থন রয়েছে। এবার নির্বাচন করায় তাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এমআই/টিআই