বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২ , ০৮:৫৬ এএম
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১০ নং হরিশংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ ও তার গাড়িচালক শাহীনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেছেন।
এর আগে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই নারীর বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিচার চাইতে গিয়ে গত শুক্রবার নরহরিদ্রা গ্রামে চেয়ারম্যানের বাড়িতে তিনি ধর্ষণের শিকার হন বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
মামলায় বলা হয়, কয়েক মাস আগে শহরতলির কোরাপাড়া বটতলার এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করলে এর বিচার চেয়ে তিনি পূর্বপরিচিত চেয়ারম্যান ফরিদের সঙ্গে আলাপ করেন। বিষয়টি সমাধানের কথা বলে ফরিদ ওই নারীকে শুক্রবার বিকেলে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন।
সেখানে ফরিদ ওই নারীকে জোর করে নেশাজাতীয় দ্রব্যপান করান। ফরিদ ও তার গাড়িচালক শাহীনও নেশাদ্রব্য পান করেন। এরপর প্রথমে ফরিদ এবং পরবর্তীতে শাহীন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য গৃহবধূকে হুমকি দেন চেয়ারম্যান। ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী পরদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহম্মদ সোহেল রানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই নারীর অভিযোগ তদন্ত এবং ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলে তিনি তা কেটে দেন। তবে মামলা হওয়ার আগে তিনি ওই নারীর ভিডিওর বক্তব্য শুনে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এর কোনো সত্যতা নেই।