সোমবার, ০৬ জুন ২০২২ , ০৮:৩২ পিএম
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করতে করতে হঠাৎ কি যেন এসে লাগে ইব্রাহিমের মাথায়। আর তখনি মা ডাক দিয়ে আর কথা বলেনি যশোরের বাঘারপাড়ার ইব্রাহিম।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত হন ইব্রাহিম হোসেন। দেখে যেতে পারেননি তার পৃথিবীতে আগত নবজাতককে।
বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক আবুল কাশেম মুন্সীর ছোট ছেলে ইব্রাহিম। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির এক্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের শিপিং সহকারী পদে চাকরি করতেন।
সোমবার (৫ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ইব্রাহিম হোসেনের (২৭) দগ্ধ মরদেহ নিয়ে পৌঁছায় যশোরের বাঘারপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে। বাড়িতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন তার স্বজনরা। কান্নার রোলে এলাকা থমথমে হয়ে যায়।
ছেলের অকাল মৃত্যুতে বিলাপ করছেন মা দুলুপি বেগম ও বাবা আবুল কাশেম। জীবনসঙ্গীকে হারিয়ে স্ত্রী মুন্নি খাতুন যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। ভাই-বোনসহ অন্যান্য স্বজনদের গগণবিদারী আহাজারিতে চারপাশ ভারি হয়ে উঠে। মুন্নী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জুলাই মাসের ২৮ তারিখে তার সন্তান ভূমিষ্টের দিনক্ষণ দিয়েছেন চিকিৎসক। পৃথিবীতে আসার আগের বাবা হারালেন মুন্নির গর্ভে থাকা সন্তান।
সোমবার সকালে ক্ষনিকের কিছু সময়ের জন্য মরদেহ স্বজনদের কাছে রেখে শেষ দেখা দেখে সকাল ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় ইব্রাহিমকে।