images

দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি : মৃত বেড়ে ৪৮

রোববার, ১২ জুন ২০২২ , ০৪:২০ পিএম

images

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮ জন।

নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকার পার্কভিউ হাসপাতালে রোববার (১২ জুন) দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত নুরুল কাদের বাঁশখালীর খেজুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পার্কভিউ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মো. রাশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ফায়ার সার্ভিসকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে একটি আগুনের ঘটনায় সর্বোচ্চ ১০ জন ফায়ার সার্ভিসকর্মী প্রাণ হারালেন।

গত শনিবার রাতে ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউসুল আজম ৮ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যান।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত গাউসুল আজম মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া গাউসুল আজম গেল ৯ জুন থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

গত ৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা পুরাতন বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফায়ার ফাইটারদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

গাউসুল আজমের গ্রামের বাড়ি যশোরে। বাবার নাম আজগর গাজী। চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি।

নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন (জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি) প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপো সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায়। সেখানে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে।

একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও পরে যোগ দেয় কয়েকটি ইউনিট। রোববার সকাল পর্যন্ত আগুন নেভাতে আসা ইউনিটের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৫টি। কিন্তু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা।