images

দেশজুড়ে

দুর্ভোগে মৌলভীবাজারের পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ (ভিডিও)

মঙ্গলবার, ০৪ জুলাই ২০১৭ , ০১:৪৬ পিএম

images

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী বড়লেখা, জুড়ি ও কুলাউড়ার একাংশের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আর মৌলভীবাজারের রাজনগরের ৩টি ইউনিয়নে এবং মৌলভীবাজার সদরের ২টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এ জেলার ৫ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। 

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুশিয়ারা পানি সোমবার বিপদসীমার (শেরপুরে) ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজনগর কাউয়াদিঘির পাশে ২৪ থেকে ২৬ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় ২৫ থেকে ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা স্থায়ী হয়ে পড়েছে। আর কুশিয়ারা নদীর পানি সবসময়ই ধীরে নামে তাই এ জেলার বন্যা আরো স্থায়ী হবে।

এদিকে পানিবন্দি মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। বন্যার পানিতে সবকটি টিউবল তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। 

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পানিবন্দিদের খবর নিতে এসে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এসময় তিনি বলেন, আমরা কোনো দুর্যোগ খাটো করে দেখি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ, গ্রামের কোনো মানুষ যেনো না খেয়ে মারা যায়। একটি মানুষও যেনো গৃহহারা না হয়। দুর্ভোগ কমাতে মৌলভীবাজারে যা যা দরকার সরকারের পক্ষ থেকে সব দেয়া হবে।      

জেলা প্রশাসন জানায়, রোববার পর্যন্ত ১৮টি বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যারমধ্যে ৪১৩টি পরিবারে ২৬১২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। গেরো এপ্রিল থেকে বন্যার্তদের জন্য  মৌলভীবাজার জেলায় ৬৫০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নগদ বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে হাওরের নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দিদের মধ্যে কোনো স্থানে এখনো ত্রাণ পৌঁছেনি বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। আর যেসব সংস্থা, ব্যক্তিরা ত্রাণ নিয়ে আসছেন তারাও শুধু উপজেলা শহরের প্রধান সড়কের পাশে ত্রাণসামগ্রী দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

 

এসএস