images

দেশজুড়ে

বিপৎসীমার ওপরে ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি

শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২ , ০৭:৪৬ পিএম

images

উজানের পাহাড়ি ঢলের পানি কমে রৌমারী ও রাজিবপুরের আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদে বাড়ছে নতুন করে পানি। তবে দুই উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বন্যার্তদের দুর্ভোগ এখনও কমেনি।  অনেক এলাকায় কাঁচা-পাকা সড়ক এখনও নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে যোগাযোগ সমস্যায় রয়েছে এসব বন্যার্তরা। ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি থাকায় পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে পারেনি শিক্ষা বিভাগ। ওই দুই উপজেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট।

শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে স্থানীয় পাউবো জানায় জেলার সবকটি নদনদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। তবে ধরলা,ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এ তিনটি নদীর অববাহিকায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে সদর, উলিপুর ফুলবাড়ী, চিলমারী, রাজারহাট উপজেলার অন্তত: ৪০ হাজার মানুষ। চর ও দ্বীপচরগুলো প্লাবিত হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে এসব এলাকারও যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে, উজানের পানি আর টানা বর্ষণে ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় চরাঞ্চলের অনেক নিম্নাঞ্চল প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে।সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন।হুমকিতে রয়েছে বাড়িঘর ও নানা স্থাপনা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।