মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২ , ০৯:৪৩ পিএম
রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের বাউনিয়া বাঁধের ডি ব্লকে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে চারদিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মহসিন কাজী নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সহযোগিতায় আরও দুই ব্যক্তিকে নিয়ে ওই কিশোরীকে কয়েক দফা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছেন বলে জানা গেছে। মহসিনের স্ত্রীর নাম মর্জিনা।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা হানিফ গত ১৯ জুন চারজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী ৮ বছর ধরে ভাসানটেকের এক বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত। গত ১৫ জুন রাতে সে ওই বাসা থেকে পালিয়ে ভাসানটেকের দেওয়ান পাড়ার একটি ব্রিজের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিল।এ সময় মহসিন ও মর্জিনা ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিশোরী তাদেরকে ভালো মানুষ মনে করে এক রাতে থাকার জন্য তাদের কাছে আশ্রয় চায়। তখন তারা ওই কিশোরীকে আশ্রয় দেন। একপর্যায়ে চারদিন আটকে রেখে মর্জিনার সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন মহসীন। শুধু তাই নয়, মহসিন ও মর্জিনার সহযোগিতায় মাসুদ রানাসহ অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তি কিশোরীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। ৪ দিন পর সেখান থেকে ওই কিশোরী পালিয়ে আসে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) উদয় কুমার মন্ডল বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ওই কিশোরীর ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। ইতোমধ্যে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।