images

দেশজুড়ে

নদীতে পড়া শিশুকে ফেলে ছেড়ে গেল লঞ্চ!

সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২ , ০৯:২১ এএম

images

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি জাহিদ-৩ লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া নিখোঁজ শিশুকে ২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জেলেরা। 

রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে লঞ্চের পেছনে গোসল করার সময় ওই শিশুটি নদীতে পড়ে যায়। এ সময় শিশুটি এক‌টি প্লা‌স্টিকের বাল‌তি ধরে ভেসে ছিল খরস্রোতা নদীতে।

জীবিত উদ্ধার হওয়া শিশু ওসমান গ‌নি জুয়েল ওই লঞ্চে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। 

লঞ্চের সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা বুঝতে পেরে আমরা অনেক চেষ্টা করে‌ছি লঞ্চ‌টি ঘু‌রিয়ে জুয়েলকে উদ্ধার কর‌তে। তবে আগুনমুখা নদীতে স্রো‌ত ছিল অনেক বেশি। এ সময় স্রো‌তের কারণেই উল্টাপ‌থে লঞ্চ‌টি‌কে ঘু‌রি‌য়ে নেওয়া সম্ভব হয়‌নি।

এমভি জাহিদ-৩ লঞ্চের স্টাফ শিপন জানান, রোববার দুপুর ২টায় ঢাকার উদ্দেশে রাঙ্গাবালীর কোরালিয়া ঘাট ত্যাগ করে তাদের লঞ্চটি। পরে লঞ্চটি কিছু সময় যাওয়ার পর বাবুর্চির সহকারী জুয়েল লঞ্চের পেছনে গোসল করছিল। এ সময় বালতি দিয়ে নদী থেকে পানি ওঠানোর সময় নদীতে পড়ে যায় জুয়েল। 

তিনি আরও জানান, এ ঘটনাটি টের পেতে পেতে লঞ্চ অনেকদূর এগিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত হয়েছি শিশুটিকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছেন।

গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা জানান, পান‌প‌ট্টি এলাকার জে‌লে জু‌য়েল মাদবর বিকেল সা‌ড়ে ৪টার দি‌কে আগুনমুখা নদীর মাঝখান থে‌কে জু‌য়েল‌কে এক‌টি প্লা‌স্টিকের বাল‌তি ধ‌রে ভাসতে দেখে নৌকায় তোলে। পরে ৫টার দি‌কে পানপট্টি ঘা‌টে জু‌য়েল‌কে আনা হয়। বর্তমানে ছেলেটি ইউপি সদস্য জুবায়ের খানের হেফাজতে রয়েছে।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি জানিয়েছেন। উদ্ধারকৃত শিশুটি বর্তমানে একই এলাকার ইউপি সদস্যের হেফাজতে রয়েছে। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরও লঞ্চটি কেন চালিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।