মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২ , ০৯:৩১ এএম
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শুরু হওয়া আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টা পর্যন্ত সাময়িক স্থগিত রেখেছেন আনন্দোলনরতরা।
গতকাল সোমবার (১ আগস্ট) রাত ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
এর আগে রাত দেড়টার দিকে হামলায় জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটকৃতরা হলেন, নগরের মুন্সীপাড়ার মৃত রানা আহমদের ছেলে মো. সাঈদ হাসান রাব্বী (২৭) ও কাজলশাহ এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে মো. এহসান আহমদ।
আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা দুজনকে আটক করেছি। হামলায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। মেডিকেলের চলমান আন্দোলন স্থগিতের আগে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে কলেজ প্রশাসনসহ, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের পরিচালক ও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। তাদের দাবি বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলে মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর স্বজন (স্থানীয় কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপর দুর্ব্যবহারকারী দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ ঘটনার জেরে সোমবার রাত ৯টায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালিকের ভাতিজা আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বহিরাগতরা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শাহ অসিম বলেন, মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ফটক নির্মাণ, স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা।
বৈঠকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে অংশ নেওয়া মেডিকেলের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র সানী জানান, সড়কের অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে ও হাসপাতালের সেবা স্বাভাবিক রয়েছে। যেহেতু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিকে সমর্থন করেছেন সেহেতু আমরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করলাম।
উল্লেখ্য, দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে সোমবার (১ আগস্ট) রাত ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে এ অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে রাত দেড়টার দিকে হামলায় জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশ।