রোববার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ , ০৮:৪৫ পিএম
বরিশালে শিশু আবীর ইসলাম জিহাদ (৫) হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মা ও সৎ বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
নিহত আবীর ইসলাম জিহাদ বরিশাল নগরের ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকার মো. আল আমিন হাওলাদার ও মরিয়ম বেগম দম্পতির ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নগরের পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা আল আমিনের সঙ্গে এক বছর আগে মরিয়মের ডিভোর্স হয়। জিহাদ মা মরিয়মের সঙ্গে থাকতো। গত ২১ এপ্রিল মিলনের সঙ্গে মরিয়মের বিয়ে হয়। সন্তানকে নিয়ে মরিয়ম ও মিলন কয়েকদিন আগে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে নগরের বান্দ রোডস্থ আবাসিক হোটেল বায়জিদের একটি কক্ষে ওঠেন।
মরিয়মের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, সকালে জিহাদকে নিজের পাশে ভেজা অবস্থায় দেখতে পান। তখন মাথা, হাত ও পিঠে আঘাতের বিষয়টিও দেখতে পেয়েছেন। দ্রুত তাকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে শিশুর মরদেহ নগরের রুপাতলী এলাকার ভাসানী সড়কে অবস্থিত মরিয়মের ভাইয়ের বাসায় নেওয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুর মা ও সৎ বাবাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আটকের আগে শিশুটির মা মরিয়ম বেগম ও সৎ বাবা মিলন হাওলাদার জানান, গত ২৫ এপ্রিল তারা হোটেল বায়জিদের একটি কক্ষে ওঠেন। সেখানে রোববার সকালে হোটেলের সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত হয় জিহাদ। সকালে মিলন কক্ষে না থাকায় সন্তান জিহাদের অসুস্থতার খবর তাৎক্ষণিক হোটেল ম্যানেজারকে জানান। তিনিই শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে বলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশু জিহাদের মৃত্যু হয়।
তবে হোটেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সিঁড়ি দিয়ে শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. ফজলুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আবির ইসলাম জিহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের জন্য জিহাদের মা মরিয়ম ও মিলনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।