শনিবার, ১২ আগস্ট ২০২৩ , ১১:২৪ পিএম
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সরকারি পলিটেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন এই স্বাধীনতা দিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং পাকিস্তানের অধিকাংশ সময় জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। কখনো পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেননি। তার ডাকে আমরা সশস্র সংগ্রামের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন করেছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানিরা বিশ্ববাসীর চাপে হত্যা করতে পারেনি। পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ক্ষমতালিপসু সেনা সদস্যরা তাকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। দেশটাকে আবারও মিনি পাকিস্তান বানানোর জন্য জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে শাহ আজিজুর রহমানের মতো একজন কুখ্যাত রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের পুনর্বাসন করেছেন। তাদের চাকরি ও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা সেখান থেকে দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আপনারা সেই নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে তরান্বিত করবেন। আমি কসবা আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকার যুবক-যুবতিকে চাকরি দিয়েছি। আপনারা ছাড়া আমার আর কেউ নেই। মা, বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী কেউ দুনিয়াতে নেই। তাই আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আজীবন থাকতে চাই।
কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার আলম রনির পরিচালনায় শোক সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, জেলা পরিষদের সদস্য এম এ আজিজ, ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক প্রমুখ।