রোববার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩ , ০১:২০ পিএম
বিএনপি-জামায়াতের হরতালকে কেন্দ্র করে যাত্রী সংকটে গাবতলী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়ছে না।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) গাবতলী ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অধিকাংশ বাস কাউন্টার বন্ধ। কয়েকটি খোলা থাকলেও যাত্রী সংকট। কয়েকজন যাত্রী আসলেও তাদের ফিরে যেতে হয়েছে।
বাস কাউন্টার মাস্টাররা বলছেন, শনিবার অনেক বাস পোড়ানো হয়েছে। তাই মালিকরা বাস ছাড়তে না করেছে। তারমধ্যে যাত্রীও সংকট। ঢাকা থেকে মংলা ৮ হাজার টাকার ডিজেল লাগে। যাত্রী না হলে লোকসানেতো বাস ছাড়তে পারি না।
এদিকে, হরতালে কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ ছিল বিএনপির। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং একপর্যায়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। পুলিশের হিসাবে, ৫৫টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স পোড়ানোর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।