images

দেশজুড়ে

থার্টি ফার্স্ট নাইটে চাপ নেই পর্যটকদের, হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা

রোববার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ০৩:৫২ পিএম

images

প্রতি বছরই শেষ সূর্যাস্ত ও প্রথম সূর্যোদয়ের দৃশ্য উপভোগ করতে বরাবরই কুয়াকাটায় আগমন ঘটে হাজারো পর্যটকদের। আর এ উপলক্ষে বাড়তি চাপ তৈরি হয় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়। তবে প্রতিবছরের ন্যায় এবছর হোটেল-মোটেল ও ব্যবসায়ীদের আগাম প্রস্তুতি থাকলেও তেমন সারা নেই পর্যটকদের। তাই হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থানকে রঙিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজিয়ে  নতুনকে স্বাগত জানাতে বেশিরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে পরিপাটি করা হয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত বুকিং না পেয়ে হতাশ বেশিরভাগ হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইটের কাছাকাছি কোনো সরকারি বন্ধ না থাকা এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে কোনো প্রকার অগ্রিম বুকিং না থাকায় কাঙ্ক্ষিত পর্যটক থেকে বঞ্চিত হবার শঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।

হোটেল কানসাই ইন এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন বলেন, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধের ধাক্কায় থার্টি ফার্স্টের মত বড় বাজারেও আমরা লোকসান দিচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের রুম খালি যাচ্ছে, যা করোনাকালীন সময়ের পরে এই প্রথম।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানিয়েছেন, বছরে যতগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটকে টইটুম্বুর থাকে তারমধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। তাই এই বন্ধকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক আয়োজন থাকে তবে আকাঙ্ক্ষার ২০ শতাংশও বুকিং হচ্ছে না। যে কারণে হোটেল মালিক ও পর্যটকদের সেবা দেওয়া ২৬টি পেশার মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছে। 

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, ইংরেজি নববর্ষ বরণে কিছু শ্রেণির পর্যটক মুখিয়ে থাকেন। তারা দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে বের হন। কিন্তু এ বছর জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় ভ্রমণপিপাসুরা ঘর থেকে বের হয়নি। যার প্রভাব পড়েছে কুয়াকাটায়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ডিসেম্বরজুড়ে পর্যটকদের চাপ থাকে। তবে বর্তমানে কিছুটা কম। তারপরেও সার্বিকভাবে আমরা তৎপর রয়েছি। যাতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।