সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ , ০৭:০০ পিএম
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার সরকারি কর্মকর্তা ৩ ছেলেকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নের জমিজমার বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরবাঘা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ সিকদারের সঙ্গে প্রতিবেশী জব্বার সিকদারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে রশিদ সিকদারের ছেলেরা বাড়িতে এলে রোববার বিকেলে তাদের ফসলি জমির পরিমাণ মাপতে যান। সেখানে জব্বার সিকদার তাদের বাধা দেন। এ ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনাটি রশিদের সন্তানরা পুলিশকে জানান। রোববার রাতে সখিপুর থানার পুলিশ বিষয়টির খোঁজ নিতে ওই এলাকায় যায়। এতে ক্ষুব্ধ হন জব্বার সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এর জের ধরে সোমবার সকালে জব্বার সিকদার ও তার লোকজন নিয়ে রশিদ এবং তার ছেলেদের ওপর হামলা চালান। তাদের মারধর করা হয়েছে এমন অভিযোগ ওঠে।
আহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ সিকদার ও তার ছেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় আবদুর রশিদের অপর দুই ছেলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত স্থপতি সাখাওয়াত হোসেনকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আরেকজনের মুখে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
মারধরের বিষয়ে জব্বার সিকদারের মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, এক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। এমন খবর পেয়ে রোববার পুলিশ ওই এলাকায় গিয়েছিল। সোমবার সকালে সেখানে আবারও ঝামেলা হয়েছে। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে