images

দেশজুড়ে

শ্রমিক দলের শোভাযাত্রায় শ্রমিক লীগ নেতা!

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ , ০৪:৫৪ পিএম

images

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পূর্বে ছিলেন শ্রমিক লীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা থাকার কারণে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নিয়ে বাস টার্মিনাল এলাকাজুড়ে গড়ে তুলেন চাঁদাবাজি ও ত্রাসের রাজত্ব। এমন অভিযোগ সাধারণ শ্রমিকদের। 

বলছিলাম রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম মমিনের কথা। 

1000040954

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাবেক বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায় পরিচয় দিচ্ছেন শ্রমিক দল নেতার। এ পরিচয়ে তিনি এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি নানা দপ্তর। 

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর ও জেলার একাংশের ব্যানারে আয়োজিত শোভাযাত্রায় দেখা যায় শ্রমিক লীগের এ নেতাকে। 

এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও কেন্দ্রীয় বিএনপির বনপরিবেশ বিষয়ক  সম্পাদক ও রাসিকের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। রাজশাহীর শীর্ষ এই দুই নেতার পেছনের সারিতে শ্রমিক লীগের এই নেতাকে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

1000040939 

শোভাযাত্রার অংশ নেওয়া ভিডিও ও ছবি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে রাজশাহীতে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনেমিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বিএনপির নেতারাই এ কথিত নেতা মোমিনকে সুবিধাবাদী হিসেবে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক মোমিন গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। শুধু তাই নয়, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ২০১৭ সালের গত ২৪ মে সংগঠনটির ভোটগ্রহণ হয়েছিল। তবে রাতে ভোটগণনার সময় শ্রমিকদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। নির্বাচন কমিশনারদের পিটিয়ে ব্যালট ছিনতাই, গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এসবের অভিযোগ ওঠে মোমিনেরও বিরুদ্ধে। পরে রাজশাহী জেলা যুগ্ম জজ আদালত-১ এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার আদেশ দেন। 

1000040938

এ ছাড়াও রাজশাহীতে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের জনসভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী  শেখ হাসিনাকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাতে লাখ-লাখ টাকা খরচ করে ব্যানার ও পোস্টার নগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁটান এই শ্রমিক লীগ নেতা। 

মোমিনের মিছিলে যাওয়ার প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রোকনুজ্জামান আলম বলেন, ৫ আগস্টের আগে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন, তারাই হঠাৎ করে মিটিং মিছিলে কৌশলে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে  কঠোর অবস্থানে রয়েছি। তবে আপনাদের নিশ্চিত করছি এই মোমিন শ্রমিক দলের কোন নেতা বা কর্মী নন। সে একজন শ্রমিক লীগ নেতা ছিলেন। সে নিজেও আমাদের কাছে দাবি করেছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে মমিনুল ইসলাম মমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।

আরটিভি/এমকে/এআর