images

দেশজুড়ে

যানজটে নাকাল কিশোরগঞ্জ পৌর শহর

শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ , ০৩:০৫ এএম

images

একদিকে সরু রাস্তা তার উপর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। পুরো শহর জুড়ে রাজত্ব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মিশুক ও রিকশার। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। অপ্রশস্ত রাস্তা, অটোরিকশার আধিক্য, অদক্ষ চালক, যেখানে-সেখানে অটোস্ট্যান্ড যাত্রী উঠানামা, ফুটপাত দখল, পার্কিংয়ের জায়গার অভাবসহ নানা কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন শহরবাসী। প্রায় সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি পঙ্গুত্ববরণ করছেন অনেকেই। ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা।

পৌরসভার অনুমোদিত ৬০০ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার বিপরীতে বর্তমানে কয়েক হাজার গাড়ী চলাচল করছে। প্রতিদিন শহরের প্রবেশ পথ দিয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব গাড়ী এসে ঢুকে পড়ছে পৌরশহরে। মূল শহরের ভেতর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও দোকানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে পার্কিং না দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে এইগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। শহরের গৌরাঙ্গ বাজার, পুরান থানা, একরামপুর, আখড়া বাজার ও আঠারোবাড়ি কাচারি মোড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থমকে থাকে গণপরিবহন।

পৌরশহরের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বলেন, শহরের বাসিন্দা হিসেবে আমরা নাজুক অবস্থায় আছি। যানজটের কারণে হাটাচলা করা যায় না। এই শহরের রাস্তার তুলনায় অটোরিকশা বা বিভিন্ন যানবাহনের কারণে স্বাভাবিক চলাচল করতে পারি না। রোগী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, অফিসগামী লোকজন সর্বোপরি খুবই বাজে অবস্থায় আছি।

ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক আবু হানিফ বলেন, পুরো শহর জুড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার গাড়ী চলাচল করে। রাস্তা ছোট সে কারণে যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া ফুটপাতের দোকানের জন্য গাড়ী চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। একটা গাড়ী অভারটেক কর যেতে পারে না।

কিশোরগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের (টি আই) প্রশাসন সৈয়দ মনিরুজ্জামান বলেন, ১৩টি থানা নিয়ে গঠিত এই জেলা শহরে সকলের যাতায়াত রয়েছে। জেলা শহরের বটতলা থেকে একরামপুর পর্যন্ত রাস্তাটি সরু। দেখা গেছে এই সড়কের পাশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক রয়েছে এখানে প্রচুর রোগী আসা যাওয়া করে। তাছাড়া যারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসে তারা যত্রতত্র পার্কিং করে রাখে। গুরুত্বপূর্ণ একটি মেডিকেল কলেজ (শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) রয়েছে। 

ওই রাস্তা দিয়ে একটি অটোরিকশা পাশাপাশি একটি বড় গাড়ী প্রবেশ করলে যানজট দেখা দেয়। তাছাড়া যেই মোড় গুলো রয়েছে সেই গুলো ছোট আকালে। যে ক্লিনিক, হাসপাতাল ও বড় বড় দোকান গুলো রয়েছে তারা কোন পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখে না। পার্কিংয়ের অনুমোদন নিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড তৈরি করে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে। হয় কোন শোরুম, রেস্টুরেন্ট, অফিস, দোকান হিসেবে ব্যবহার করছে। নতুন করে আরও যানজট বাড়বে, যেমন এখন হাওরে বোরো ধান কাটা চলছে। বোরো শেষ হয়ে গেলে হাওরে পানি চলে আসবে। বেকার যারা তারা শহরে এসে ৬মাস অটোরিকশা চালাবে। 

এসব সমস্যার মধ্যেও আমরা যানজট নিরসনে কাজ করছি। আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। প্রতিদিন আমরা অটোরিকশা বা অবৈধ যে পার্কিং করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রায় প্রতিমাসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করছি।

আরটিভি/এমকে