images

দেশজুড়ে

পাঁচ দিন চেষ্টার পর ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ , ১০:৪০ পিএম

images

রাঙ্গামাটিতে অবশেষে ভেঙে ফেলা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। ৫ দিন ধরে ভাস্কর্য ভাঙার কাজ চলার পর মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি জেলা নির্বাচন অফিসের সার্ভার স্টেশনের সামনে নির্মিত ভাস্কর্যটি ভেঙে উপড়ে ফেলা হয়।

রাঙ্গামাটি থেকে ‘ফ্যাসিবাদের চিহ্ন’ শেখ মুজিবের ভাস্কর্য অপসারণে জেলা পরিষদকে দুই দফায় দেওয়া ৬০ ঘণ্টার আলটিমেটাম গেল ১৬ মে (শুক্রবার) শেষ হওয়ায় ভাস্কর্য ভাঙা শুরু করেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার জুমাআর নামাজের পর থেকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাঙ্গামাটির ভেদভেদি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধান সড়কে রাঙ্গামাটি জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সার্ভার স্টেশনের বিপরীতে সামনের অংশে স্থাপিত ভাস্কর্যটির সামনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। পরে সন্ধ্যায় হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে শুরু হয় ভাঙা।

এর আগে, গেল বুধবার (১৪ মে) জেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে মুর্তি অপসারণের প্রতিশ্রুতির মুখে কর্মসুচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

গেল ৫ আগস্ট পতিত আওয়ামী লীগের পতন হলে এই ভাস্কর্যটি ভাঙ্গার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ছাত্র-জনতা। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণে দাবি তোলা হলেও কাজ হয়নি।

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ ২০১২ সালে এই ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কয়েক দফায় চলা এর নির্মাণ কাজে প্রায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ আছে। একইসঙ্গে এর নির্মাণে নকশাগত ত্রুটি ও অনিয়মের অভিযোগও উঠে। 

ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদকে দায়ের হওয়া মামলা চলমান রয়েছে। কাজটি রাজনৈতিক বিবেচনায় জেলা আ.লীগের নেত্রী ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর স্বামী আনোয়ার হোসেন ঠিকাদারী পান। তবে ওই মামলা চলা অবস্থাতেই আন্দোলনের মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার হাতে ভাঙা পড়ল ভাস্কর্যটি।

আরটিভি/একে