বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ , ০৬:৩৭ পিএম
স্কুল জীবনেই কৃষির প্রতি আগ্রহ জন্ম। সেই আগ্রহকে পুঁজি করে শুরু করেছিলেন মাত্র ২ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে। আজ তার সেই পথচলা এক সফলতার গল্প। বলছি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মালথ গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. বেলাল হোসেনের কথা। মিশ্র ফল বাগান ও দেশি-বিদেশি ফলদ চারা উৎপাদনে স্থানীয়ভাবে তিনি এখন পরিচিত মুখ।
মাত্র ৮ম শ্রেণিতে পড়ার সময় নানির দেওয়া টাকা দিয়ে ৬ কাঠা জমিতে নার্সারি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন বেলাল। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে পরিশ্রম ও অভিজ্ঞতা। আজ তার প্রায় ১০ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে মিশ্র ফলের বাগান ও নার্সারি।
বেলালের বাগানে রয়েছে গোল্ডেন-৫ ও গোল্ডেন-৮ জাতের পেয়ারা। কুল রয়েছে ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী ও কাশ্মীর সুন্দরী জাতের। এ ছাড়া বাগানে উৎপাদিত আমের জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে রেড আইভেরী, থ্রি টেস্ট, ব্রুনাই কিং, জাপানি জিয়াজাকি, সূর্য ডিম, সুপার সিন্ধু, আলপানসু, ডগ মাই, রেড তোতাপুরী, কিং অব চাকাপাত, কিউজাই, থাই বারোমাসি, বেন খাসসহ আরও নানা জাত।
লিচুর জাতের মধ্যে রয়েছে রাজশাহীর বোম্বাই (মোজাফফর), চায়না থ্রি, বেদানা লিচু, থাই লংগান, রেড লংগান, হোয়াইট লংগান ও রাম ভুটান। কমলার জাতের মধ্যে রয়েছে বারী-১, ভিয়েতনামী মাল্টা, ইয়োলো মাল্টা, দার্জিলিং কমলা, চায়না কমলা ও মেন্ডারিন। রয়েছে ইয়োলো ও হোয়াইট ড্রাগন ফলও।
বেলাল হোসেন বলেন, স্কুল জীবন থেকেই কৃষির সঙ্গে যুক্ত। তখনই ঠিক করেছিলাম, কিছু একটা করতেই হবে। এখন আমার ১০ বিঘা জমিতে ফলের বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগানের সঙ্গে নিজস্ব নার্সারি রয়েছে যাতে সঠিক জাতের চারা পাওয়া নিশ্চিত হয়।
তিনি আরও জানান, তার বাগানে প্রতিদিন প্রায় ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। বছরে নার্সারি ও বাগান থেকে গড়ে ২০ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একরামুল হোসেন বলেন, বেলাল হোসেন একজন সফল মিশ্র ফলচাষি ও নার্সারি উদ্যোক্তা। সঠিক জাতের সায়ন সংগ্রহ করে চারা উৎপাদনে তিনি দক্ষ। আমি তার বাগান ঘুরে দেখেছি, এটি প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।
আরটিভি/এএএ/এস