শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ১২:৩৫ পিএম
বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে জেলার ৩টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যমুনাপাড়ের মানুষরা উঁচু কোথাও আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ৩টি উপজেলার বেশকিছু নিচু এলাকার পাটগাছ এবং বেশকিছু ফসলাদি পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী যমুনার পানি এ যাত্রায় বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা খুবই কম। বগুড়ায় গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা, বাঙালি এবং করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৫.৪৫ মিটার। আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় পানির উচ্চতা হয়েছে ১৫.৮৪ মিটার। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় এ নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারিয়াকান্দিতে এ নদীর পানির বিপৎসীমা ১৬.২৫ মিটার। তাই পানি এখন বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এ নদীর পানি সর্বোচ্চ ৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে। সারিয়াকান্দিতে এ নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৩.৪০ মিটার। আজ শুক্রবার পানির উচ্চতা হয়েছে ১৩.৪৬ মিটার। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নদীর পানির বিপৎসীমা ১৫.৩৬ মিটার। অর্থাৎ বাঙালির পানি বিপৎসীমার ১৯০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই পানিবৃদ্ধিতে জেলার ধনুট এবং সোনাতলা উপজেলার আংশিক এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত বেশকিছু বাড়িতে পানি উঠেছে। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চলে সদ্য বেড়ে ওঠা পাটগাছ, ধইঞ্চাসহ বেশকিছু কৃষিজমির ফসল পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। পানিতে আক্রান্ত হওয়ায় কোথাও কৃষকরা অপরিপক্ক পাটগাছ কর্তন করে নিচ্ছেন।
পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই হওয়ায় যমুনাচরে বসবাসরত নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা উঁচু কোথাও আশ্রয় নিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। কেউ কেউ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেয়া শুরু করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে বগুড়া জেলার নদ নদীগুলোতে গত কয়েকদিন ধরেই পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে পানিবৃদ্ধির এ হার একেবারেই কমে এসেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে দু-একদিনের মধ্যেই পানি স্থিতিশীল হয়ে কমতে শুরু করবে। এ মুহূর্তে বড় কোনও বন্যার সম্ভাবনা নেই এবং চরাঞ্চলবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
আরটিভি/এফএ/এআর